পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औदनशूटि সহজে ফাকি দিয়া এড়াইয়া চলিবার পথ নাই। তাই সেদিনকার সমন্ত দুঃসহ আন্ধাত বুক পাতিয়া লইতে হইয়াছিল । ... " জীবনের মধ্যে কোথাও যে কিছুমাত্ৰ বঁটাক আছে, তাহা তখন জনিতাম না ; সামন্তই হাসিকান্নায় একেবারে নিরেট করিয়া বোনা। তাহাকে অতিক্রম করিয়া আর কিছুই দেখা যাইত না, তাই তাহাকে একেবারে চরম করিয়াই গ্রহণ করিয়ছিলাম। এমনসময় কোথা হইতে মৃত্যু আসিয়া এই অত্যন্ত প্ৰত্যক্ষ জীবনটার একটা প্রান্ত যখন এক মুহূর্তের মধ্যে ফাক করিয়া দিল, তখন মনটার মধ্যে সে কী ধাঁধাই লাগিয়া গেল। চারিদিকে গাছপালা মাটিজল চন্দ্ৰসূর্ব গ্ৰহতারা তেমনি নিশ্চিত সত্যেরই মতো বিরাজ করিতেছে, অথচ তাহদেরই মাঝখানে তাহদেয়াই মতো যাহা নিশ্চিত সত্য ছিল- এমনকি, দেহ প্ৰাণ হৃদয় মনের সহস্ৰবিধ স্পর্শের স্বারা যাহাকে তাহদের সকলের চেয়েই বেশি সত্য করিয়াই অনুভব করিতাম। সেই নিকটের মানুষ যখন এত সহজে এক নিমিষে স্বপ্নের মতো মিলাইয়া গেল তখন সমস্ত জগতের দিকে চাহিয়া মনে হইতে লাগিল, এ কী অদ্ভুত আত্মখণ্ডন ! যাহা আছে এবং বাহ রহিল না, এই উভয়ের মধ্যে কোনোমতে মিল করিব কেমন করিয়া!” জীবনের এই য়াছটির ভিতর দিয়া যে একটা অতল স্পর্শ অন্ধকার প্রকাশিত হইয়া পড়িল, তাহাঁই আমাকে দিনরাত্রি আকর্ষণ করিতে লাগিল। আমি মুরিয়া ফিরিয়া কেবল সেইখানে আসিয়া দাড়াই, সেই অন্ধকারের দিকেই তাকাই এবং খুজিতে থাকি-বাহা গেল তােহর পরিবর্তে কী আছে। শূন্যতাকে মানুষ কোনোমতেই অন্তরের সঙ্গে বিশ্বাস করিতে পারে না। যাহা নাই তাহাঁই মিথ্যা, যাহা মিথ্যা তাহা নাই। এইজন্যই যাহা দেখিতেছি না। তাহার মধ্যে দেখিবার চেষ্টা, যাহা পাইতেছি না। তােহর মধ্যেই পাইবার সন্ধােন কিছুতেই থামিতে চায় না। চারাগাছকে অন্ধকার বেড়ার মধ্যে বিরিয়া য়াখিলে, তাহার সমন্ত চেষ্টা যেমন সেই অন্ধকারকে কোনোমতে ছাড়াইয়া আলোকে মাথা তুলিবার জন্য পদাঙ্গুলিতে ভর করিয়া যথাসম্ভব খাড়া হইয়া উঠিতে থাকে- তেমনি, মৃত্যু যখন মনের চারিদিকে হঠাৎ একটা নাই-অন্ধকারের বেড়া গাড়িয়া দিল, তখন সমস্ত মনপ্রাণ অহােরাত্র দুঃসাধ্য চেষ্টায় তাহারই ভিতর দিরা কেবলই আছে-আলোকের মধ্যে বাহির হইতে চাহিল। কিন্তু সেই অন্ধকারকে অতিক্রম করিবার পথ অন্ধকারের মধ্যে যখন দেখা যায় না। তখন তাহার भाठा यूथ आम मै जाए । তবু এই দুঃসহ দুঃখের ভিতর দিয়া আমার মনের মধ্যে ক্ষণে ক্ষণে একটা আকস্মিক আনন্দের হাওয়া বহিতে লাগিল, তাহাতে আমি নিজেই আশ্চর্য হইতাম । জীবন যে একেবারে অবিচলিত নিশ্চিত নহে, এই দুঃখের সংবাদেই মনের ভার লঘু হইয়া গেল। আমরা যে নিশ্চল সত্যের পাথরো-গাথা দেয়ালের মধ্যে চিরদিনের কয়েদি নহি, এই চিন্তায় আমি ভিতরে ভিতরে উল্লাস বোধ করিতে লাগিলাম। যাহাঁকে ধরিয়াছিলাম তাহাকে ছাড়িতেই হইল, এইটাকে ক্ষতির দিক দিয়া দেখিয়া যেমন বেদনা পাইলাম তেমনি সেইক্ষণেই ইহাকে মুক্তির দিক দিয়া দেখিয়া একটা উসার শক্তি বােধ করিলাম। সংসারের বিশ্বব্যাপী অতি বিপুল ভার জীবনমৃত্যুর হরণপূরণে আপনাকে আপনি সহজেই নিয়মিত করিয়া চারিদিকে কেবলই প্রবাহিত হইয়া চলিয়াছে, সে-ভার বন্ধ হইয়া কাহাকেও কোনোখানে চাপিয়া রাখিয়া দিবে না- একেশ্বর জীবনের দীেরাত্ম্য কাহাকেও বহন করিতে হইবে না- এই কথাটা একটা আশ্চর্য নূতন সত্যের মতো আমি সেদিন (NR een Gruif kofficisivita t সেই বৈরাগ্যের ভিতর দিয়া প্রকৃতির সৌন্দৰ্য আরো গভীর রূপে রমণীয় হইয়া উঠিয়ছিল। কিছুদিনের জন্য জীবনের প্রতি আমার অন্ধ আসক্তি একেবারেই চলিয়া গিয়েছিল বলিয়াই, চারিদিকে আলোকিত নীল আকাশের মধ্যে গাছপালার আন্দোলন আমার আজাদাৰীত চক্ষে ভারি একটি মাধুরী বর্ষণ করিত। জগৎকে সম্পূর্ণ করিয়া এবং সুন্দর করিয়া দেখিবার জন্য যেসূত্বন্ধের প্রয়োজন মৃত্যু সেই দূরত্ব ঘটাইয়া দিয়াছিল। ১ ডু ‘কোথায় (ভারতী, লীেৰ ১২৯১), কড়ি ও কোমল, রবীন্দ্ররচনাবলী ২ (সুলত ১) SLLL L SSSL LSS BBBBBBL LLLLLS LBSLLB LBLLLLS SDDLLS YBBLSS LBL DDLLDLL TiBD àree