পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) |8||KO শেষ সপ্তক সেও তো এসেছে বিনা নামের অতিথি, গর-ঠিকানার পথিক । তার যেটুকু সত্য তা সেই মুহুর্তেই পূর্ণ হয়েছে, তার বেশি আর বাড়বে না একটুও, নামের পিঠে চড়ে । বর্তমানের দিগন্ত-পারে যে-কাল আমার লক্ষের অতীত সেখানে অজানা অনামীয় অসংখ্যের মাঝখানে যখন ঠেলা ঠেলি চলবে r লক্ষ লক্ষ নামে নামে, তখন তারি সঙ্গে দৈবক্রমে চলতে থাকবে। বেদনাহীন চেতনাহীন ছায়ামাত্রসার আমারো নামটাধিক থাক সেই কাঙাল কল্পনার মরীচিকায়। জীবনের অল্প কয়দিনে বিশ্বব্যাপীনামহীন আনন্দ দিক আমাকে নিরহংকার মুক্তি । সেই অন্ধকারকে সাধনা করি যার মধ্যে স্তন্ধ বসে আছেন প্রকাশিত যিনি আনন্দে । ভালোবেসে মন বললে “আমার সব রাজত্ব দিলেম তোমাকে ৷” অবুঝ ইচ্ছােটা করলে অত্যক্তি ; দিতে পারবে কেন ? সবটার নাগাল পাব কেমন করে ? ও যে একটা মহাদেশ, সাত সমুদ্রে বিচ্ছিন্ন। ওখানে বহুদূর নিয়ে এক বিরাজ করছে ीिकुि अनठिऊभीश । তার মাথা উঠেছে মেঘে ঢাকা পাহাড়ের চূড়ায়, তার পা নেমেছে আঁধারে-ঢাকা গহবরে । 8