পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eso ब्ररीक्ष-मानारी তখনকার কালের প্রচলিত খৃস্টানধর্মের সঙ্গে খাপ খায় নাই- তাই বলিয়া এ কথা বলা কি শোভা পাইত যে, খৃস্টান-বেচারার পক্ষে মিথ্যা জ্যোতির্বিদ্যাই সত্য ? তাহাকে কি এই উপদেশ দেওয়া চলিত যে, তুমি খৃস্টান অতএব তোমার উচিত তোমার উপযোগী একটা বিশেষ জ্যোতিষকেই একান্ত শ্ৰদ্ধার সহিত বরণ করা ? ? কিন্তু তাই বলিয়া গ্যালিলিওই কি জ্যোতিয্যের চরমে গিয়াছেন ? তাহা নহে। তবুও তাঁহা সত্যের দিকে যাওয়া । সেখান হইতেও অগ্রসর হও কিন্তু কোনো কারণেই পিছু হঠা আর চলিবে না ; যদি হঠিতে থাকি তবে সত্যের উলটা দিকে চলা হইবে সুতরাং তাহার শান্তি অবশ্যম্ভাবী। তেমনি ধর্ম সম্বন্ধে একটিমাত্র লোকের বোধও যদি দেশের সকল লোকের বোধকে ছাড়াইয়া গিয়া থাকে। তবে তাঁহাই সমস্ত দেশের লোকের ধর্ম, কারণ তাঁহাই দেশের সর্বোচ্চ সত্য। অন্য লোকে তাহা গ্ৰহণ করিতে রাজি হইবে না, তাই বুঝিতে বিলম্ব করিবে; কিন্তু তুমি যদি বুধিয়া থাক তবে তােমাকে সকল লোকের সম্মুখে দাঁড়াইয়া বলিতে । হইবে, ইহাই সত্য এবং ইহা সকল লোকেরই সত্য, কেবল একলা আমার সত্য নহে। কেহ যদি জড়ভাবে বলিতে থাকে। ইহা আমি বুঝিতে পারিব না। তবে তোমাকে জোর করিয়াই বলিতে হইবে, তুমি বুঝিতে পরিবে, কারণ ইহা সত্য এবং সত্যকে গ্ৰহণ করাই মানুষের ধর্ম। ইতিহাসে আমরা কী দেখিলাম ? আমরা দেখিয়াছি, বুদ্ধদেব যখন সত্যকে পাইয়াছি বলিয়া উপলব্ধি করিলেন, তখন তিনি বুঝিলেন আমার ভিতর দিয়া সমস্ত মানুষ এই সত্য পাইবার অধিকারী হইয়াছে। তখন তিনি ভিন্ন ভিন্ন লোকের শক্তির পরিমাপ করিয়া সত্যের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে মিথ্যার খাদ মিশাইতে লাগিলেন না। তঁহার মতো অদ্ভুত শক্তিমান পুরুষ বহুকাল একাগ্রচিন্তার পর যে সত্য উপলব্ধি করিতে পারিয়াছেন তাহা যে সকল মানুষেরই নয় এ কথা তিনি এক মুহূর্তের জন্যও কল্পনা করেন নাই। অথচ সকল মানুষ তাহাকে শ্রদ্ধা করে নাই, অনেকে তাহাবুদ্ধির দোষে বিকৃতও করিয়াছে। তৎসত্ত্বেও এ কথা নিশ্চিত সত্য যে, ধর্মকে হিসাব করিয়া ক্ষুদ্র করা কোনোমতেই চলে না- যে তাঁহাকে যে পরিমাণে মানুক আর না মানুক, সেই যে একমাত্র মাননীয় এই কথা বলিয়া তাহাকে সকলের সামনে পূর্ণভাবে ধরিয়া রাখিতে হইবে! বােপকে সকল ছেলে সমান শ্ৰদ্ধা করে না এবং অনেক ছেলে তাহার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করিয়াও থাকে, তাই বলিয়া ছেলেদিগকে শ্রেণীবিভক্ত করিয়া এমন কথা বলা চলেনা যে, তোমার বাপ বারো-আনা, তোমার বাপ সিকি, এবং তোমার বাপ বাপই নহে, তুমি একটা গাছের ডালকে বাপ বলিয়া গ্ৰহণ করে- এবং এইরূপে অধিকার-ভেদে তোমরা বাপের সঙ্গে ভিন্নরূপে ব্যবহার করিতে থাকো; তাহা হইলেই তোমাদের সন্তানধর্ম পালন করা হইবে । বস্তুত পিতার তারতম্য নাই ; তঁহার সম্বন্ধে সন্তানদের হৃদয়ের ও ব্যবহারের যদি তারতম্য থাকে। তবে সেই অনুসারে তাহাদিগকে ভালো বলিব বা মন্দ বলিব, একথা কখনোই বলিব না। তুমি যখন এইটুকু মাত্র পর তখন এইটুকুই তোমার পক্ষে ভালো। সকলেই জানেন যিশু যখন বাহ্য-অনুষ্ঠান-প্রধান ধর্মকে নিন্দা করিয়া আধ্যাত্মিক ধর্মের বার্তা ঘোষণা করিলেন তখন য়িহুদিরা তাহা গ্রহণ করে নাই। তবু তিনি নিজের গুটিকয়েক অনুবতী মাত্রকেই লইয় সত্যধর্মকে নিখিল মানবের ধর্ম বলিয়াই প্রচার করিয়াছিলেন। তিনি এ কথা বলেন নাই, এ ধর্ম যাহারা বুঝিতে পারিতেছে তাহাদেরই, যাহারা পারিতেছে না। তাঁহাদের নহে। মহম্মদের আবির্ভাবকালে পৌত্তলিক আরবীয়েরা যে তঁহার একেশ্বরবাদ সহজে গ্রহণ করিয়ছিল তাঁহা নহে, তাই বলিয়া তিনি তাহাদিগকে ডাকিয়া বলেন নাই, তোমাদের পক্ষে যাহা সহজ। তাহাঁই তোমাদের ধর্ম, তোমরা বাপ দাদা ধরিয়া যার্থ মানিয়া আসিয়াছ তাহাঁই তোমাদের সত্য। তিনি এমন অদ্ভুত অসত্য বলেন নাই যে, যাহাকে দশজনে মিলিয়া বিশ্বাস করা যায় তাহাই সত্য, যাহাকে দশজনে মিলিয়া পালন করা যায় তাহাঁই ধর্ম। এ কথা বলিন্টে SDDBD BB DDD DD DuBBB D BD uBD S এ কথা বলাই বাহুল্য উপস্থিতৃমত মানুষ যাহা পারে সেইখনেই তাহারসীমা নহে। তাহা যদি হইত। তুর্গ যুগযুগান্তর ধরিয়া মানুষ মউমাছির মতো একই রকম মাউচাক তৈরি করিয়া চলিত। বস্তুত অবিচলিত সনাতন প্রধারািবড়াই যদি কেহ করিতে পারে তবে সে পশুপক্ষী কীটপতঙ্গ, মানুষ নহে। আরো বেশি বড়ই যদি কেহ করিতে পারে তবে সে ফুলমাটিপাথর। মানুষ কোনো একটা জায়গায় আসিয়া হাল ছাড়িয়া ঢ়োর্থ