পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(სტNტ8 রবীন্দ্র-রচনাবলী fŞğ fiệì বঁকড়াচুল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর sŞ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর यशों রমেন্দ্ৰনাথ চক্রবর্তী দ্বারে সুরেন্দ্রনাথ কর কন্যাবিদায় নন্দলাল বসু বিদায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রসদনে রক্ষিত পাণ্ডুলিপির সাহায্যে বিচিত্রিতার বর্তমান সংস্করণে অধিকাংশ কবিতার রচনাকাল দেওয়া গেল এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাঠ সংশোধিত হইল । ১৩৩৯ বৈশাখের ‘প্রবাসীতে “কুমার” কবিতার কেবলমাত্র প্রথম সাতটি ও শেষ স্তবকটি একত্রে “কুমার” নামে মুদ্রিত হয় এবং তৎপূর্বে ১৩৩৮ পৌষের ‘বিচিত্রায় নিম্নমুদ্রিত স্তবকটি এবং উহার অনুবর্তনস্বরূপ বর্তমান কবিতার অষ্টম নবম ও দশম স্তবক কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত রূপে “নিৰ্ভীক” নামে প্রকাশিত হয় ; নবজাগরণ-চঞ্চল তব পাখা নিভৃত নীড়ের কোণে সে কি রবে ঢাকা । নিয়ে যাবে তার ওড়ার আবেগ সে যে, বাতাসে উঠিবে হুংকার তার বেজে, দিবে সে ঝলকি প্ৰভাতরবির তেজে পালখে পালখে যো-বর্ণ তার আঁকা । ‘বিচিত্রা’ এবং ‘বিচিত্রিতা’ মিলাইয়া দেখিলে অন্য কতকগুলি পাঠভেদও লক্ষ্য করা যায় ; বিচিত্রায় মুদ্রিত অংশের রচনাকাল পাণ্ডুলিপি-অনুসারে- ১৬ কার্তিক ১৩৩৮ ৷৷ “ছায়াসঙ্গিনী” কবিতাটি কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে “ছায়া” নামে ১৩৩৮ ফাল্লুনের বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়। উহার সূচনা ছিল এরূপ : জীবনের প্রথম ফাঙ্গুনী অকস্মাৎ এসেছিল, তুমি তারি পদধ্বনি শুনি কম্পিত কৌতুকী আম্রমঞ্জরীর গন্ধে ভরি গোল ঘর নিকুঞ্জের হিল্লোলমর্মর, মিলে গেল তারি সাথে হাদয়স্পন্দন । নবোম্মুখ অশোকপল্লবে, উৎসুক যৌবন তব রাঙাইল রক্তিম উৎসবে। এ ক্ষেত্রেও কতকগুলি পাঠান্তর ছিল ; ২৪ পঙক্তির পরে দুইটি নূতন ছাত্র ছিল : কালো চক্ষে ঘনাইল আপনা-বিস্মৃত সেই তারি স্তিমিত স্তম্ভিত অশ্রাবারি ।