পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় আমার এই ছোটো কলস পেতে রাখি ঝরনাধারার নীচে । সকালবেলায় বসে থাকি শেওলা-ঢাকা পিছল কালো পাথরটাতে পা বুলিয়ে। ঘট ভরে যায় এক নিমেষে, ফেনিয়ে ওঠে। ছলছলিয়ে, ছাপিয়ে পড়ে বারে বারে, সেই খেলা ওর আমার মনের খেলা । সবুজ দিয়ে মিনে-করা পাহাড়তলির নীল আকাশে ঝরঝরানি উছলে ওঠে দিনেরাতে । ভোরের ঘুমে ডাক শোনে তার šGK QG3f | জলের ধ্বনি যায় পেরিয়ে বেগনি রঙের বনের সীমানাযেখানে ওই বুনো পাড়ার হাটের মানুষ তরাই গ্রামের রাস্তা ছেড়ে ধীরে ধীরে উঠছে চড়াই পথে, বলদের পিঠে বোঝাই শুকনো কাঠের আঁঠি ; রুনুকুনু ঘণ্টা গলায় বাধা । প্ৰথম প্রহর গেল কেটে । রাঙা ছিল সকালবেলার নতুন রোদের রঙ, উঠল সাদা হয়ে । বক উড়ে যায়। পেরিয়ে পাহাড় জলার দিকে | বেলা হল, ডাক পড়েছে। ঘরে । ওরা আমায় রাগ করে কয়, '(त्रि कलव्नि कम ।' চুপ করে সব শুনি । ঘট ভরতে হয় না দেরি, সবাই জানেউপচে-পড়া জলের কথা বুঝবে না তো ওরা । W9ፄ $ চারুচন্দ্র দত্ত মহাশয়কে লেখা “বিয়াল্লিশ -অঙ্কিত কবিতা প্রসঙ্গে ১৩৫৯ আষাঢ়ের “শনিবারের চিঠিতে ছাপা হয় : “এই কবিতাটি ছাপাখানার কৃপায় খণ্ডিতভাবে প্রকাশিত হইয়াছে। এই ভুল