পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9ፃbr রবীন্দ্র-রচনাবলী টুকরি। কোথায়, কোথায় সে মুক্তো ! যতীন । সে আমার মনের ভেতরে গেঁথে রেখেছি । টুকরি। মনের ভেতরে ? সে কোনখানে যতীনন্দা ? যতীন । ঠানদি বুড়ি, বড়ো শক্ত প্রশ্ন করেছিস । মন কোথায় তারই খোজ করতে করতে এতকাল কেটে গেল । টুকরি । হয়তো তোমার রাজকন্যা জানে, তাকে জিজ্ঞাসা করো-না ! যতীন । না টুকরি, সেও হয়তো জানে না । টুকরি। আমার রাজপুত্ত্বর কিন্তু আমি পেয়েছি, তা জানো ? এখনই দেখাতে পারি। यडैन । 6ाथिहश (न-ा दृद्धि । টুকরি । (পুতুল বাহির করিয়া) এই দেখো, এইবার তোমার রাজকন্যা দেখাও । যতীন । তোর জিত রইল রে বুড়ি । দেখাতে পারলুম না । তাকে কেনা সহজ নয় । টুকরি । মাকে বলে আমি তোমাকে কিনে দেব। যতীন । না বুড়ি, আমি নিজে কিনব বলেই পণ করেছি। টুকরি । পয়সা আছে তোমার ? ? যতীন। কী জানি ঠানদি, হয়তো বা আছে- এইমাত্র খবর পেলুম যে— মাসি ।। যতীন, ওর সঙ্গে আর কত ছেলেমানুষি করবি ? একটু চুপ কর । , যতীন। খুব বেশি খুশি হয়ে উঠতে ডাক্তারের হয়তো বারণ আছে, তাই মাসি কথা চাপা। দিতে চাচ্ছেন - কিন্তু টুকরি, তোকে আমাদের গোপন কথা না জানালে খেলা জমবে কেন । রাজকন্যাকে বুঝি বা পেয়েছি, কেবল হাতে এসে পৌঁছতে একটু দেরি হচ্ছে । টুকরি । পৌঁছলে আমাকে খবর দেবে ? যতীন । সে যখন আসবে আমার খেলাঘরের দরজার কাছে তোকে দাড় করিয়ে রাখব । মাসি । টুকরি, আর নয়। রাত হয়েছে, তোর মা ব্যস্ত হবে । টুকরি । রাজকন্যে যেদিন আসবে সেদিন তুমি এমন বিচ্ছিরি সেজে থাকলে হবে না, সেদিন আমি তোমাকে সাজিয়ে দেব | যতীন । আচ্ছা, মার কাছ থেকে একটা লাল চেলি নিয়ে আসিস, আর ফুলের মালা ফরমাশ দিয়ে রাখিস । টুকরি । এই দেখে যতীনন্দা, আমার রাজপুতুরের জন্য সানাইয়ের বঁাশি কিনেছি। (টিনের বঁশি বাজানো) (তুমি বাজাতে পাের ? যতীন । না ভাই, আমার হাতে সুর বাজল না ।] যেদিন আমার রাজকন্যে আসবে, তোকেই সেদিন সানাই বাজাতে ডাকব । [টুকরির প্রস্থান হিমি কোথায়, মাসি ? সে কি ঘুমোতে গেছে। মাসি । না, এখনো বেশি রাত হয় নি । ও হিমি, শুনে যা । যতীন। দেখা হিমি, যেদিন মণির ম্যাগনেলিয়া ফুটবে ঠিক সেই দিনই গৃহপ্ৰবেশের আয়োজন করিস, ভুলিস নে— আর কতদিন আছে আন্দাজ করতে পারিস ? হিমি । আর তিন-চার দিনের বেশি দেরি হবে না । ৭। রবীন্দ্রভবনের গ্রন্থে কবির হস্তাক্ষরে এই অংশের পরিবর্তে আছে : টুকরি।-- বাজাও-না । যতীন । এখন আমি বঁাশি শুনি, বাঁশি বাজাই নে ।