পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و ۹ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী শাখাবাহের জটিলতা, জয় করে নিয়েছে চারদিকে নিস্তািন্ধ অবকাশ । তোমার নিঃশব্দ উচ্ছাস সেই উদার পথে উত্তীৰ্ণ হয়ে যায় সূর্যোদয়-মহিমার মাঝে । সেই পথ দিয়ে দক্ষিণ বাতাসের স্রোতে অনাদি প্ৰাণের মন্ত্ৰ তোমার নবকিসলয়ের মর্মে এসে মেলেবিশ্বহৃদয়ের সেই আনন্দমন্ত্ৰ “ভালোবাসি ।” বিপুল ঔৎসুক্য আমাকে বহন করে নিয়ে যায়। সুদূরে ; বর্তমান মুহুর্তগুলিকে অবলুপ্ত করে কালহীনতায় । যেন কোন লোকান্তরগতচক্ষু BINE (8К6 (50 GOS চেতনাকে নিষ্কারণ বেদনায় সকল সীমার পরপারে দেয় পাঠিয়ে । উৰ্ব্বলোক থেকে কানে আসে। সৃষ্টির শাশ্বতবাণী“ভালোবাসি ।” যেদিন যুগাস্তের রাত্রি হল অবসান আলোকের রশ্মিদূত বিকীর্ণ করেছিল। এই আদিমবাণী আকাশে আকাশে। সৃষ্টিযুগের প্রথম লগ্নে প্ৰাণসমুদ্রের মহাপ্লাবনে তরঙ্গে তরঙ্গে দুলেছিল এই মন্ত্রবচন । এই বাণীই দিনে দিনে রচনা করেছে। স্বৰ্ণাইেছাঁটায় মানসী প্ৰতিমা আমার বিরহ-গগনে অন্তসাগরের নির্জন ধূসর উপকূলে। আজ এ দিনান্তের অন্ধকারে YDL DDLL LLOBD DB BB নিবিড় চেতনায় সম্মিলিত হয়ে সন্ধাবোলার একতলা তারার মতো জীবনের শেষবাণীতে হোক উদ্ভাসিত “ভালোবাসি ”