পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Aо ক্ষোভে লাজায় রক্তবর্ণ হল বালকের মুখ । বলে উঠল, চাই নে প্ৰাণ মিথ্যার কৃপায়, সত্যে আমার শেষ মুক্তি, আমি শিখ ।” d5ब्धि পথিক আমি । পথ চলতে চলতে দেখেছি পুরাণে কীর্তিত কত দেশ আজ কীর্তি-নিঃস্ব । দেখেছি। দাপোন্ধত প্ৰতাপের অবমানিত ভগ্নশেষ, ऊद्र दिष्छ निकान्न বজ্ৰাঘাতে হঠাৎ স্তন্ধ অট্টহাঁসির মতো গেছে উড়ে ; বিরাট অহংকার হয়েছে। সাষ্টাঙ্গে ধুলায় প্ৰণত, সেই ধুলার পরে সন্ধ্যাবেলায় ভিক্ষুক তার জীর্ণ কথা মেলে বসে, পথিকের শ্রান্ত পদ সেই ধুলায় ফেলেচিহ্ন, অসংখ্যের নিত্য পদপাতে সে চিহ্ন যায় লুপ্ত হয়ে । দেখেছি সুদূর যুগান্তর বালুর স্তরে প্রচ্ছন্ন, যেন হঠাৎ ঝঙ্কার ঝাপটা লেগে কোন মহাতরী হঠাৎ ডুবল ধূসর সমুদ্রতলে, সকল আশা নিয়ে, গান নিয়ে, স্মৃতি নিয়ে। এই অনিত্যের মাঝখান দিয়ে চলতে চলতে অনুভব করি আমার হৃৎস্পন্দনে অসীমের স্তব্ধতা ।