পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক

  • शsि

অঙ্গের বাধনে বাধাপড়া আমার প্রাণ আকস্মিক চেতনার নিবিড়তায় চঞ্চল হয়ে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে, তখন কোন কথা জানাতে তার এত অধৈৰ্য । - যে কথা দেহের অতীত ? খাচার পাখির কণ্ঠে যে বাণী সে তো কেবল ধাচারই নয়, তার মধ্যে গোপনে আছে সুদূর অগোচরের অরণ্য-মর্মর, ' আছে করুণ বিস্মৃতি । সামনে তাকিয়ে চোখের দেখা দেখি এ তো কেবলই দেখার জাল-বোনা নয় । বসুন্ধরা তাকিয়ে থাকেন নির্নিমেষে। দেশ-পারানো কোন দেশের দিকে, দিগবলয়ের ইঙ্গিতলীন কোন কল্পলোকের অদৃশ্য সংকেতে । দীর্ঘ পথ ভালোমন্দয় বিকীর্ণ রাত্ৰিদিনের যাত্রা দুঃখসুখের বন্ধুর পথে । শুধু কেবল পথ চলাতেই কি এ পথের লক্ষ্য ? ভিড়ের কলরব পেরিয়ে আসছে গানের আহবান, তার সত্য মিলবে কোনখানে ? মাটির তলায় সুপ্ত আছে বীজ । তাকে স্পর্শ করে চৈত্রের তাপ, মাঘের হিম, শ্রাবণের বৃষ্টিধারা। অন্ধকারে সে দেখছে অভাবিতের স্বপ্ন । স্বপ্নেই কি তার শেষ ? উষার আলোয় তার ফুলের প্রকাশ ; আজ নেই, তাই বলে কি নেই কোনোদিনই ? छर्द्धोि শীতের রোদুর। সোনা-মেশা সবুজের ঢেউ স্তম্ভিত হয়ে আছে সেগুন বনে । বেগনি-ছায়ার ছোওয়া-লাগা কুরি নামা বৃদ্ধ বট : ডাল মেলেছে রান্তার ও পার পর্যন্ত । ܗܶ