পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী مob * যে-বন্ধুর মহাগানে একদিন স্বর্ষের আলোতে রোমাঞ্চিয়া বাহিরিলে প্রাণযাত্রী, অন্ধকার হতে ? আজি কি পেয়েছ ফিরে প্রাণের পরশহর্ষ সেই যুগারস্তপ্রভাতের আদি-উৎসবের – নিমেষেই অবসাদ দূরে গেল, জীবনের বিজয়পতাকা আবার চঞ্চল হল নীলাম্বরে, খুলে গেল ঢাকা, খুজে পেলে যে-আশ্বাস অন্তরে কহিছে রাত্রিনি— ‘প্রাণতীর্থে চলে, মৃত্যু করে৷ জয়, শ্রাস্তিক্লাস্তিহীন । [ »७ यग्लिन २७०8 শাস্তিনিকেতন ] চামেলি-বিতান চামেলি-বিতানের নিচের ছায়ায় আমি বসতুম— ময়ূর এসে বসত উপরে, লতার আশ্রয়বেষ্টনী থেকে পুচ্ছ ঝুলিয়ে । জানি সে আমাকে কিছুমাত্র সম্মান করত না, কিন্তু সৌন্দর্যের যে-অৰ্ঘ্যতার সে বহন করে বেড়াত, তার অজ্ঞাতে আমি নিজেই সেটি প্রতিদিন গ্রহণ করেছি। এমন অসংকোচে সে ষে দেখা দিয়ে ষায় এতে আমি কৃতজ্ঞ ছিলুম, সে যে আমাকে ভয় করে নি এ আমার সৌভাগ্য। আরও তার কয়েকটি সঙ্গী সঙ্গিনী ছিল কিন্তু দূরের দুরাশায় ওদের কোথায় টেনে নিয়ে গেল, আমিও চলে এসেছি সেই চামেলির সুগন্ধি ছায়ার আশ্রয় থেকে অন্য জায়গায় । বাইরে থেকে এই পরিবর্তনগুলি বেশি কিছু নয়, তবু অন্তরের মধ্যে ভাঙাচোরার দাগ কিছু কিছু থেকে যায়। শুনেছিলুম আমাদের প্রদেশে কোনো-এক নদীগর্ভজাত দ্বীপ ময়ূরের আশ্রয়। ময়ুর হিন্দুর অবধ্য । মৃগয়াবিলাসী ইংরেজ এই দ্বীপের নিষেধকে উপেক্ষা করতে পারে নি অথচ গুলি করে ময়ুর মারবার প্রবল আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়া তার পক্ষে অসম্ভব