পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশেষ আজি এই বৎসরের বিদায়ের শেষ আয়োজন, মৃত্যু, তুমি ঘুচাও গুণ্ঠন ৷ কত কী গিয়েছে ঝরে, জানি জানি কত স্নেহ প্রীতি নিবায়ে গিয়েছে দীপ রাখে নাই স্মৃতি । মৃত্যু, তব হাত পূর্ণ জীবনের মৃত্যুহীন ক্ষণে, ওগো শেষ অশেষের ধনে । ৩• চৈত্র ১৩৩৩ [ শান্তিনিকেতন ১ জুলাই ১৯২৭ | মুক্তি S আমারে সাহস দাও, দাও শক্তি, হে চিরসুন্দর, দাও স্বচ্ছ তৃপ্তির আকাশ, দাও মুক্তি নিরস্তর প্রত্যহের ধুলিলিপ্ত চরণপতনপীড়া হতে, দিয়ে না দুলিতে মোরে তরঙ্গিত মুহূর্তের স্রোতে, ক্ষোভের বিক্ষেপবেগে । শ্রাবণসন্ধ্যার পুষ্পবনে গ্লানিহীন যে-সাহস স্বকুমার যুখীর জীবনে— নির্মম বৰ্ষণঘাতে শঙ্কাশূন্ত প্রসন্ন মধুর, মুহূর্তের প্রাণটিতে ভরি তোলে অনন্তের স্বর, সরল আনন্দহাস্তে ঝরি পড়ে তৃণশয্যা-পরে, পুর্ণতার মুর্তিখানি আপনার বিনম্র অন্তরে সুগন্ধে রচিয়া তোলে ; দাও সেই অক্ষুব্ধ সাহস, সে আত্মবিস্মৃত শক্তি, অব্যাকুল, সহজে স্ববশ আপনার স্বন্দর সীমায় – দ্বিধাশূন্ত সরলতা গাখুক শাস্তির ছন্দে সব চিস্তা, মোর সব কথা । ON”ථ