পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশেষ তীব্র তাহার হাস্য বিশ্বকাজের মোহমুক্ত ভাষ্য। একটু কেশে পড়া করলেম শুরু যৌবনে যা শিখিয়েছিলেন অন্তর্যামী আমার কবিগুরু,— প্রথম প্রেমের কথা, আপনাকে সেই জানে না যেই গভীর ব্যাকুলতা, সেই যে বিধুর তীব্রমধুর তরাসদোদুল বক্ষ দুরু দুরু,— উড়ো পাখির ডানার মতো যুগল কালো ভুরু, নীরব চোখের ভাষা, এক নিমেষে উচ্ছলি দেয় চিরদিনের আশা, তাহারি সেই দ্বিধার ঘায়ে ব্যথায় কম্পমান দুটি-একটি গান । এড়িয়ে-চলা জলধারার হাস্যমুখর কলকলোচ্ছ্বাস, পুজায়-স্তব্ধ শরৎপ্রাতের প্রশাস্ত নিশ্বাস, বৈরাগিণী ধূসর সন্ধ্যা অস্তসাগরপারে, তন্দ্রাবিহীন চিরস্তনের শান্তিবাণী নিশীথ-অন্ধকারে,— ফাগুনরাতির স্পর্শমায়ায় অরণ্যতল পুষ্পরোমাঞ্চিত, কোন অদৃষ্ঠ মুচিরবাঞ্ছিত বনবীথির ছায়াটিরে কঁাপিয়ে দিয়ে বেড়ায় ফিরে ফিরে, তারি চঞ্চলত মর্মরিয়া কইল যে-সব কথা, তারি প্রতিধ্বনিভর দু-একটা চৌপদী আমার সসংকোচে পড়ে গেলেম ত্বর। । পড়া আমার শেষ হল যেই, ক্ষণেক নীরব থেকে নন্দগোপাল উৎসাহেতে বলল হঠাৎ বেকে,— సి: