পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२s ० २ टाळीसग्न > ने २१ মায়র জাহাজ রবীন্দ্র-রচনাবলী হঠাৎ হাওয়ায় যৌবনেরি ঢেউ ছলছলিয়ে উঠত প্রাণে জানত না তা কেউ । লাগত অামায় আপন গানের নেশা অনাগত ফাগুনদিনের বেদন দিয়ে মেশা । সে গান যারা শুনত তারা আড়াল থেকে এসে আড়ালেতে লুকিয়ে যেত হেসে । হয়তো তাদের দেবার ছিল কিছু, আভাসে কেউ জানায় নি তা নয়ন করে নিচু। হয়তো তাদের সারাদিনের মাঝে পড়ত বাধা একবেলাকার কাজে । চমকলীগা নিমেষগুলি সেই হয়তো বা কার মনে আছে, হয়তো মনে নেই। জ্যোৎস্নারাতে একলা ছাদের পরে উদার অনাদরে কাটত প্রহর লক্ষ্যবিহীন প্রাণে, মুল্যবিহীন গানে । মোর জীবনে বিশ্বজনের অজানা সেই দিন, বাজত তাহার বুকের মাঝে খামখেয়ালী বীন,— যেমনতরো এই সাগরে নিত্য সোনায় নীলে রূপহারানো রাধাপ্তামের দোলন দোহায় মিলে, যেমনতরো ছুটির দিনে এমনি বিকেলবেলা দেওয়া-নেওয়ার নাই কোনো দায়, শুধু হওয়ার খেলা, অজানাতে ভাসিয়ে দেওয়া আলোছায়ার ভেলা ।