পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশেষ উপস্থিত কালের যা দাবি মিটাবার জন্যে সে তো নয়, তাই যদি সেই দান তোমাদের রুচিতে না লাগে, তবে তার বিচার সে পরে হবে । তবু যা সম্বল আছে তাই দিয়ে একালের ঋণ শোধ করে অবশেষে ঋণী তারে রেখে যাই যেন । যা আমার লাভক্ষতি হতে বড়ো, যা আমার সুখদুঃখ হতে বেশি– তাই যেন শেষ করে দিয়ে চলে যাই স্তুতি নিন্দা হিসাবের অপেক্ষা না রেখে । ১১ জুলাই ১৯৩২ জরতী হে জরতী, অস্তরে আমার দেখেছি তোমার ছবি । অবসানরজনীতে দীপবর্তিকার স্থিরশিখা আলোকের অাভ অধরে ললাটে— শুভ্ৰ কেশে । দিগন্তে প্রণামনত শাস্ত-আলো প্রত্যুষের তারা মুক্ত বাতায়ন থেকে পড়েছে নিমেষহীন নয়নে তোমার । সন্ধ্যাবেলা মল্লিকার মালা ছিল গলে গন্ধ তার ক্ষীণ হয়ে বাতাসকে করুণ করেছে— ૨ (t (t