পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به ۵ রবীন্দ্র-রচনাবলী হৈমন্তী নিঃশব্দে কবে গেথেছে তাহারি শুভ্ৰমালা নিভৃত গোপন চিত্তে ; সেই অর্ঘ্যে পুর্ণ করি ডাল৷ লাবণ্যনৈবেদ্যথানি, দক্ষিণসমুদ্র-উপকুলে এনেছে অরণ্যচ্ছায়ে, যেথায় অগণ্য ফুলে ফুলে রবির সোহাগগর্ব বর্ণগন্ধমধুরসধারে বৎসরের ঋতুপাত্র উচ্ছলিয়া দেয় বারে বারে। বিস্ময়ে ভরিল মন, এ কী এ প্রেমের ইন্দ্রজাল, কোথা করে অন্তর্ধান মুহূর্তে দুস্তর অন্তরাল— দক্ষিণপবনসখা উৎকণ্ঠিত বসন্ত কেমনে হৈমন্তীর কণ্ঠ হতে বরমাল্য নিল শুভক্ষণে । জীবনমরণ জীবনমরণের বাজায়ে খঞ্জনি নাচিয়া ফাঙ্কন গাহিছে। অধীর হল ধরা মাটির বন্দিনী বাতাসে উড়ে যেতে চাহিছে। আজিকে আলো ছায়া করিছে কোলাকুলি, আজিকে এক দোলে দুজনে দোলাদুলি শুকানো পাতা আর মুকুলে । আজিকে শিরীষের মুখর উপবনে জড়িত পাশাপাশি নৃতনে পুরাতনে চিকন শুামলের দুকুলে। বিরহে টানে মিড় মিলন-বীণাতারে, সুখের বুকে বাজে বেদন