পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্ত \లల মোর আঙিনায় বাজল সে-স্বর আমার প্রাণের তালে তালে । সব কুঁড়ি মোর ফুটে ওঠে তোমার হাসির ইশারাতে । দখিনহাওয়া দিশাহারা আমার ফুলের গন্ধে মাতে । শুভ্ৰ, তুমি করলে বিলোল আমার প্রাণে রঙের হিলোল, মর্মরিত মর্ম আমার জড়ায় তোমার হাসির জগলে । রাজা । সব তো বুঝলুম। আকাশ থেকে চাদ দেখছি পৃথিবীর হৃদয়কে দোলা লাগিয়েছে। কিন্তু ওঁকে পৃথিবীতে নামিয়ে এনে কষে দোলা না দিতে পারলে তো জবাব দেওয়া হয় না। তার কী করলে । কবি । তার তো ব্যবস্থা হয়েছে মহারাজ। আমাদের নদীর ঢেউ আছে তো, সেদিকে চেয়ে দেখো না। চাদ টলোমলো । নদী কে দেবে চাদ তোমায় দোলা । আপন আলোর স্বপন-মাঝে বিভোল ভোলা । কেবল তোমার চোখের চাওয়ায় দোলা দিলে হাওয়ায় হাওয়ায়, বনে বনে দোল জাগাল ওই চাহনি তুফানতোলা । আজ মানসের সরোবরে কোন মাধুরীর কমলকানন দোলাও তুমি ঢেউয়ের পরে। তোমার হাসির আভাস লেগে বিশ্বদোলন দোলার বেগে উঠল জেগে আমার গানের কল্লোলিনী কলরোলা ।