পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ON O রবীন্দ্র-রচনাবলী সুড়ঙ্গ-খোদাইকর গোকুলের প্রবেশ গোকুল। একবার মুখ ফেরাও তো দেখি – তোমাকে বুঝতেই পারলুম না। তুমি কে । নন্দিনী । আমাকে যা দেখছ তা ছাড়া আমি কিছুই না । বোঝবার তোমার দরকার কী । 顧 গোকুল। ন বুঝলে ভালো ঠেকে না। এখানে তোমাকে রাজা কোন কাজের প্রয়োজনে এনেছে । নন্দিনী । অকাজের প্রয়োজনে । গোকুল। একটা কী মন্তর তোমার আছে। ফাদে ফেলেছ সবাইকে। সর্বনাশী তুমি। তোমার ওই সুন্দর মুখ দেখে যারা ভুলবে তারা মরবে। দেখি দেখি, সিথিতে তোমার ওই কণী ঝুলছে। নন্দিনী । রক্তকরবীর মঞ্জরি । গোকুল । ওর মানে কী। নন্দিনী । ওর কোনো মানেই নেই। গোকুল। আমি কিছু তোমাকে বিশ্বাস করি নে। একটা কী ফন্দি করেছ। আজ দিন না যেতেই একটা-কিছু বিপদ ঘটাবে। তাই এত সাজ। ভয়ংকরী, ওরে ভয়ংকরী। নন্দিনী । আমাকে দেখে তোমার এমন ভয়ংকর মনে হচ্ছে কেন । গোকুল। দেখে মনে হচ্ছে, তুমি রাঙা আলোর মশাল। যাই, নির্বোধদের বুঝিয়ে বলিগে, ‘সাবধান, সাবধান, সাবধান ।” [ প্রস্থান নন্দিনী । ( জালের দরজায় ঘা দিয়ে ) শুনতে পাচ্ছ ? নেপথ্যে । নন্দা, শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু বারে বারে ডেকো না, আমার সময় নেই, একটুও না। নন্দিনী । আজ খুশিতে আমার মন ভরে আছে। সেই খুশি নিয়ে তোমার ঘরের মধ্যে যেতে চাই । নেপথ্যে । না, ঘরের মধ্যে না, যা বলতে হয় বাইরে থেকে বলো । নন্দিনী । কুঁদফুলের মালা গেঁথে পদ্মপাতায় ঢেকে এনেছি। নেপথ্যে । নিজে পরে । ت