পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তকরবী \లN9) 5टतः । न1 ।। বিশু। মদের পেয়ালা নিয়ে ভুলে যাই ভাগ্যের গণ্ডির মধ্যে আমরা বাধা । মনে করি আমাদের অবাধ ছুটি। সোনার তাল হাতে নিয়ে এখানকার কর্তার সেই মোহ লাগে। সে ভাবে সর্বসাধারণের মাটির টান ওতে পৌছয় না, অসাধারণের আসমানে ও উড়ছে। চন্দ্রা। নবাম্নের সময় এল ব’লে, গ্রামে গ্রামে তার জোগাড় চলছে। পায়ে পড়ি, ঘরে চলো । একবার সর্দারকে গিয়ে আমরা যদি— বিশু। স্ত্রীৰুদ্ধিতে সর্দারকে এখনো চেন নি বুঝি ? চন্দ্র। কেন, ওকে দেখে তো আমার বেশ— বিণ্ড । হা, বেশ ঝকঝকে । মকরের দাত, খাজে খাজে বড়ো পরিপ কামড়ে ধরে । মকররাজ স্বয়ং ইচ্ছে করলেও আলগা করতে পারে না । চন্দ্র। ওই-যে সর্দার। বিশু । তবেই হয়েছে। আমাদের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। চন্দ্র। কেন, এমন তো কিছু বলি নি যাতে— বিশু। বেয়ান, কথা আমরা বলি, মানে-যে করে ওরা। কাজেই কোন কথার টিকে কোন চালে আগুন লাগায় কেউ জানে না। করে 危 সর্দারের প্রবেশ চন্দ্রা । সর্দারদাদা ! সর্দার । কী নাতনী, খবর ভালো তো ? চন্দ্র। একবার বাড়ি যেতে ছুটি দাও । সর্দার । কেন । যে-বাসা দিয়েছি সে তো খাসা, বাড়ির চেয়ে অনেক ভালো । সরকারী খরচে চৌকিদার পর্যন্ত রাখা গেছে। কী হে ৬৯ ঙ, তোমাকে এদের মধ্যে দেখলে মনে হয় সারস এসেছেন বকের দলকে নাচ শেখাতে । বিশু। সর্দারজি, তোমার ঠাট্টা শুনে আমোদ লাগছে না। নাচাবার মতো পায়ের জোর থাকলে এখান থেকে টেনে দৌড় মারতুম। তোমাদের এলাকায় নাচানো ব্যবসা কত সাংঘাতিক তার মোটা মোটা দৃষ্টান্ত দেখেছি, এমন হয়েছে সাদা চালে চলতেও পা কাপে । সর্দার। নাতনী, একটা মুখবর আছে। এদের ভালোকথা শোনাবার জন্যে