পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তকরবী oፃፃ মোড়ল । দেখতে দেখতে ওর দল ভারী হয়ে উঠছে। কখন আমাদের স্থদ্ধ নাচিয়ে তুলবে। ছোটো সর্দারের প্রবেশ সর্দার । কোথায় চলেছ । ছোটো সর্দার। রঞ্জনকে বাধতে চলেছি। সর্দার। তুমি কেন। মেজো সর্দার কোথায় । ছোটো সর্দার। ওকে দেখে তার এত মজা লেগেছে, তিনি ওর গায়ে হাত দিতেই চান না। বলেন, “আমরা সর্দাররা কি-রকম অদ্ভূত হয়ে উঠেছি, সে ওর হাসি দেখলে বুঝতে পারি। সর্দার । শোনো, ওকে বাধতে হবে না, রাজার ঘরে পাঠিয়ে দাও । ছোটো সর্দার। ও তো রাজার ডাক মানতেই চায় না। সর্দার। ওকে বলোগে, রাজা ওর নন্দিনীকে সেবাদাসী করে রেখেছে। ছোটো সর্দার । কিন্তু রাজা যদি— · সর্দার । কিছু ভাবতে হবে না। চলো, আমি নিজে যাচ্ছি। [সকলের প্রস্থান অধ্যাপক ও পুরাণবাগীশের প্রবেশ পুরাণবাগীশ । ভিতরে একি প্রলয়কাগু হচ্ছে বলে তো । ভয়ংকর শব্দ-যে ! . অধ্যাপক। রাজা বোধহয় নিজের উপর নিজে রেগেছে । তাই নিজের তৈরী একটা-কিছু চুরমার করে দিচ্ছে। পুরাণবাগীশ । মনে হচ্ছে, বড়ো বড়ো থাম হুড়মুড় করে পড়ে যাচ্ছে। _ অধ্যাপক। আমাদের ওই পাহাড়তলা জুড়ে একটা সরোবর ছিল, শঙ্খিনীনদীর জল এসে তাতে জমা হত। একদিন তার বা দিকের পাথরের স্তৃপটা কাত হয়ে পড়ল, জমা জল পাগলের অট্টহাসির মতো খলখল করে বেরিয়ে চলে গেল। কিছুদিন থেকে রাজাকে দেখে মনে হচ্ছে, ওর সঞ্চয়সরোবরের পাথরটাতে চাড় লেগেছে, তলাটা ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে এসেছে । পুরাণবাগীশ । বস্তুবাগীশ, এ কোন জায়গায় আমাকে আনলে, আর কী করতেই বা আনলে । 聯 অধ্যাপক। জগতে যা-কিছু জানবার আছে, সমস্তই জানার দ্বারা ও আত্মসাৎ করতে চায়। আমার বস্তুতত্ত্ববিদ্যা প্রায় উজাড় করে নিয়েছে, এখন থেকে থেকে