রবীন্দ্র-রচনাবলী عb-bعام বিণ্ড । পাগলী, শুনতে পাচ্ছিস ওই ফসলকাটার গান ? নন্দিনী । শুনতে পাচ্ছি, প্রাণ কেঁদে উঠছে । বিশু। মাঠের লীলা শেষ হল, খেতের মালিক পাকা ফসল ঘরে নিয়ে চলল। গান শেষ ফলনের ফসল এবার কেটে লও, বাধো অঁাটি, বাকি যা নয় গো নেবার মাটিতে হ’ক তা মাটি । [ সকলের প্রস্থান চিকিৎসক ও সর্দারের প্রবেশ চিকিৎসক। দেখলুম। রাজা নিজের পরে নিজে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। এ-রোগ বাইরের নয়, মনের । সর্দার । এর প্রতিকার কী । চিকিৎসক । বড়ো-রকমের ধাক্কা । হয় অন্য রাজ্যের সঙ্গে, নয় নিজের প্রজাদের মধ্যে উৎপাত বাধিয়ে তোলা । সর্দার। অর্থাং আর-কারো ক্ষতি করতে না দিলে, উনি নিজের ক্ষতি করবেন। চিকিৎসক । ওরা বড়োলোক, বড়ো-শিশু, খেলা করে । একটা খেলায় যখন বিরক্ত হয়, তখন আরেকটা খেলা না জুগিয়ে দিলে নিজের খেলনা ভাঙে। কিন্তু প্রস্তুত থাকে। সর্দার, আর বড়ো দেরি নেই। সর্দার। লক্ষণ দেখে আমি আগেই সব প্রস্তুত রেখেছি। কিন্তু হায় হায়, কী দুঃখ । আমাদের স্বর্ণপুরী যে-রকম ঐশ্বর্ষে ভরে উঠেছিল, এমন কোনোদিন হয় নি, ঠিক এই সময়টাতেই— আচ্ছা যাও, ভেবে দেখছি। [ চিকিৎসকের প্রস্থান মোড়লের প্রবেশ মোড়ল । সর্দারমহারাজ, ডেকেছেন ? আমি এ পাড়ার মোড়ল সর্দার। তুমিই তো তিনশো একুশ ? - মোড়ল । প্রভুর কী স্মরণশক্তি। আমার মতে অভাজনকেও ভোলেন না।