পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন (t a S) জগতে আমাদের প্রত্যেকেরই একটি বিশেষ স্থান আছে। আমরা প্রত্যেকেই একটি বিশেষ আমি। সেই বিশেষত্ব একেবারে অটল অটুট ; অনস্ত কালে অনস্ত বিশ্বে আমি যা আর-কেউ তা নয় । তা হলে দেখা যাচ্ছে এই-যে আমিত্ব ব’লে একটি জিনিস, এর দ্বারাই জগতের অন্ত সমস্ত-কিছু হতেই আমি স্বতন্ত্র। আমি জানছি যে আমি আছি, এই জানাটি যেখানে জাগছে সেখানে অস্তিত্বের সীমাহীন জনতার মধ্যে আমি একেবারে একমাত্র। আমিই হচ্ছি আমি, এই জানাটুকুর অতি তীক্ষ খঙ্গের দ্বারা এই কণামাত্র আমি অবশিষ্ট ব্ৰহ্মাগুকে নিজের থেকে একেবারে চিরবিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে, নিখিল-চরাচরকে আমি এবং আমি-না এই দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। কিন্তু এই-ষে ঘর ভাঙাবার মুল আমি, মিলিয়ে দেবার মুলও হচ্ছেন উনি। পৃথক না হলে মিলনও হয় না ; তাই দেখতে পাচ্ছি সমস্ত জগৎ জুড়ে বিচ্ছেদের শক্তি আর মিলনের শক্তি, বিকর্ষণ এবং আকর্ষণ, প্রত্যেক অণুপরমাণুর মধ্যে কেবলই পরস্পর বোঝাপড়া করছে। অামার আমির মধ্যেও সেই বিশ্বব্যাপী প্রকাও দুই শক্তির খেলা ;– তার এক শক্তি প্রবল হাত দিয়ে ঠেলে ফেলছে, আর-এক শক্তি প্রবল হাত দিয়ে টেনে নিচ্ছে। এমনি করে আমি এবং আমি-না’র মধ্যে কেবলই আনাগোনার জোয়ারভাটা চলেছে। এমনি করে আমি আমাকে জানছি বলেই তার প্রতিঘাতে সকলকে জানছি এবং সকলকে জানছি বলেই তার প্রতিঘাতে আমাকে জানছি। বিশ্ব-অামির সঙ্গে আমার আমির এই নিত্যকালের ঢেউ-খেলাখেলি । এই এক আমিকে অবলম্বন করে বিচ্ছেদ ও মিলন উভয় তত্ত্বই আছে ব’লে আমি টুকুর মধ্যে অনন্ত দ্বন্দ্ব । যেদিকে সে পৃথক সেইদিকে তার চিরদিনের দুঃখ, যেদিকে সে মিলিত সেইদিকে তার চিরকালের আনন্দ ; যেদিকে সে পৃথক সেইদিকে তার স্বার্থ, সেইদিকে তার পাপ, ষেদিকে সে মিলিত সেইদিকে তার ত্যাগ, সেদিকে তার পুণ্য ; যেদিকে সে পৃথক সেইদিকেই তার কঠোর অহংকার, যেদিকে সে মিলিত সেইদিকেই তার সকল মাধুর্যের সার প্রেম। মানুষের এই আমির একদিকে ভেদ এবং আর-একদিকে অভেদ আছে বলেই মানুষের সকল প্রার্থনার সার প্রার্থনা হচ্ছে দ্বন্দ্বসমাধানের প্রার্থনা ;– আসতো মা সদগময়, তমসো মা জ্যোতির্গময়, মৃত্যোর্মামৃতং গময় । সাধক কবি কবীর দুটিমাত্র ছত্রে আমি-রহস্তের এই তত্ত্বটি প্রকাশ করেছেন— বব হম রহুল রহী নছি কোঈ, इथ८ब्र मांश् ब्रह्ल जय ८कांभे । כיסו 4 צ