পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ २8 রবীন্দ্র-রচনাবলী তব অস্তধানে তব হেরিলাম রূপ চিরন্তন, অস্তরে অলক্ষ্যলোকে তোমার পরম আগমন। লভিলাম চিরস্পর্শমণি ; তোমার শূন্তত তুমি পরিপূর্ণ করেছ আপনি । যে-দ্বার খুলিয়া গেলে রুদ্ধ সে হবে না কোনোমতে, কান পাতি রহে তব ফিরিবার প্রত্যাশার পথে— তোমার অমুর্ত আসাযাওয়া যে পথে চঞ্চল করে দিগ বালার অঞ্চলের হাওয়া । বসন্তে মাঘের অন্তে আম্রবনে মুকুলমত্তত মধুপগুঞ্জনে মিশি আনে কোন কানে-কানে কথা । মোর নাম তব কণ্ঠে ডাকা ক্ষান্ত আজি তাপরাস্ত দিনাস্তের মৌন দিয়ে ঢাকা । বিরহের সঙ্গহীন স্তব্ধতার গভীর নিভৃতে বাক্যহারা চিত্তে মোর এতদিনে পাইকু শুনিতে তুমি কবে মর্ম-মাঝে পশি দিলে অনির্বচনীয় ধ্যানমন্ত্রবাণী মহীয়সী। অন্তরের অন্ধকারে এতদিনে পাইকু সন্ধান সন্ধ্যার দেউলদীপ চিত্তে মোর তোমারি সে দান । বিচ্ছেদের হোমবহ্নি হতে পুজামুর্তি ধরি প্রেম দেখা দিল দুঃখের আলোতে । ২৬ আষাঢ় ১৩৩৫ "বিরহ ও অস্তুধর্ণন কবিতাছুটির পাণ্ডুলিপিতে প্রাপ্ত একীকৃত আকারের প্রাথমিক পাঠ । ‘দায়মোচন কবিতাটির প্রথম শ্লোকের পরে পাণ্ডুলিপিতে নিম্নোদ্ধত একটি সম্পূর্ণ নূতন শ্লোক আছে : শ্রাবণের বর্ষণে যা দিয়েছে ঢালি, দান সেই অল্প তো নয় ।