পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহুয়া দিগন্তের পথ বাহি শূন্তে চাহি রিক্তবিত্ত শুভ্ৰ মেঘ সন্ন্যাসী উদাসী গৌরীশঙ্করের তীর্থে চলিয়াছে ভাসি । সেই স্নিগ্ধক্ষণে, সেই স্বচ্ছ সূর্যকরে, পূর্ণতায় গম্ভীর অম্বরে মুক্তির শাস্তির মাঝখানে তাহারে দেখিব যারে চিত্ত চাহে, চক্ষু নাহি জানে। ১৯ অগস্ট ১৯২৮ সাগরিক সাগরজলে সিনান করি সজল এলোচুলে বসিয়াছিলে উপল-উপকূলে । শিথিল পীতবাস মাটির পরে কুটিলরেখা লুটিল চারি পাশ। নিরাবরণ বক্ষে তব, নিরাভরণ দেহে চিকন সোনা-লিখন উষা আঁকিয়া দিল স্নেহে । মকর চূড় মুকুটখানি পরি ললাট-পরে ধমুকবাণ ধরি দখিন করে, দাড়াতু রাজবেশী,— কহিতু, “আমি এসেছি পরদেশী” । চমকি ত্রাসে দাড়ালে উঠি শিলা-আসন ফেলে, শুধালে, “কেন এলে”। কহিমু আমি, "রেখো না ভয় মনে, পুজার ফুল তুলিতে চাহি তোমার ফুলবনে’। চলিলে সাথে, হাসিলে অমুকুল, তুলিমু যুখী, তুলিচু জাতী, তুলিচু চাপাফুল।