পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ সেপ্টেম্বর ১৯২৮ [ জোড়ার্সাকে ] রবীন্দ্র-রচনাবলী শাল তাল সপ্তপর্ণ অশ্বখের সাথে প্রথম প্রভাতে 血 স্বৰ্য-অভিনন্দনের তুলেছিস গম্ভীর বন্দন । অপ্রসন্ন আকাশের ভ্ৰভঙ্গে যখন অরণ্য উদ্বিগ্ন করি তোলে, সেই কালবৈশাখীর ক্রুদ্ধ কলরোলে শাখাৰুহে ঘিরে আশ্বাস করিস দান শঙ্কিত বিহঙ্গ অতিথিরে । অনাবৃষ্টিক্লিষ্ট দিনে, বিশীর্ণ বিপিনে, বন্তৰুভূক্ষুর দল ফেরে রিক্ত পথে, দুভিক্ষের ভিক্ষাগুলি ভরে তারা তোর সদাব্রতে বহুদীর্ঘ সাধনায় সুদৃঢ় উন্নত তপস্বীর মতো বিলাসের চাঞ্চল্যবিহীন, সুগম্ভীর সেই তোরে দেখিয়াছি অন্যদিন অস্তরে অধীরা ফাল্গুনের ফুলদোলে কোথা হতে জোগাস মদিরা পুষ্পপুটে ; বনে বনে মৌমাছিরা চঞ্চলিয়া উঠে । তোর স্বরাপাত্র হতে বন্যনারী সম্বল সংগ্রহ করে পুর্ণিমার নৃত্যমত্ততারি। রে অটল, রে কঠিন, কেমনে গোপনে রাত্রিদিন তরল যৌবনবহ্নি মজ্জায় রাখিয়াছিলি ভরে । কানে কানে কহি তোরে বধুরে যেদিন পাব, ডাকিব মহুয়া নাম ধরে ।