পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহুয়া A& মুগ্ধ প্রাণ-উপহার অনায়াসে নেয়, আর অনায়াসে ভোলে দায় তার । ভুবনে যেখানে যত নয়নের আনন্দলহরী | তাই দেখা দিতে এল নারীমুর্তি ধরি । সরস্বতী রচিলেন মন তার কোন অবসরে রাগহীন বাণীহীন গুঞ্জনের স্বরে ; অমৃতে মাটিতে মেশা স্বজনের এ কোন স্বরতি,— নাম কি মুরতি । মালিনী হাসিমুখ নিয়ে যায় ঘরে ঘরে, সখীদের অবকাশ মধু দিয়ে ভরে । প্রসন্নতা তার অন্তহীন রাত্রিদিন গভীর কী উৎস হতে উচ্ছলিছে অালোবালা কথাবলী স্রোতে । মর্ত্যের স্নানতা তারে পারে নি তো স্পশ করিবারে । প্রভাতে সে দেখা দিলে মনে হয় যেন স্থৰ্যমুখী রক্তারুণ উল্লাসে কৌতুকী। মধ্যাহ্নের স্থলপদ্ম আমলিন রাগে প্রফুল্ল সে স্বর্যের সোহাগে, সায়াহ্নের জুই সে-যে, গন্ধে যার প্রদোষের শূন্যতায় বঁশি ওঠে বেজে । মৈত্রীস্থধাময় চোখে 疆 মাধুরী মিশায়ে দেয় সন্ধ্যাদীপালোকে । রজনীগন্ধা সে রাতে, দেয় পরকাশি আনন্দহিল্লোল রাশি রাশি ; সঙ্গহীন আঁধারের নৈরাশ্র্যক্ষালিনী,— নাম কি মালিনী ।