পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচনা У око মিলাইয়া যায়, তেমনি একটুখানি হাসি- অতিমধুর অতিমৃদু একটি হাসি মরমে আসিয়া লাগিতেছে; বাতাসটি গায়ে লাগিলে যেমন ধীরে ধীরে চোখ বুজিয়া আসে তেমনিতর বোধ হইতেছে! হাসি কি কেবল দেখাই যায় ? হাসি ফুলের গন্ধটির মতো প্ৰাণের মধ্যে আসিয়া লাগে। রাধা বলিতেছেন প্ৰাণনাথ, কেমন করিব আমি ? তোমা বিনে মন করে উচাটন কে জানে কেমন তুমি। না দেখি নয়ন ঝরে অনুক্ষণ, দেখিতে তোমায় দেখি। (pigkei ayon মূরছিতে-হেন, মুদিয়া রহিয়ে আঁখি। শ্ৰবণে শুনিয়ে তোমার চরিত, আন না ভাবিয়ে মনে । নিমিষের আধ পাশরিতে নারি ঘুমালে দেখি স্বপনে! জাগিলে চেতন হারাই গো আমি তোমা নাম করি। কাদি। পর্যবোধ দেই ५6] 3-वनg. তিলেক থির নাহি বাধি। ইহার প্রথম দুটি ছত্ৰে ভাবের অধীরতা, ভাষার বাধ ভাঙিবার জন্য ভাবের আবেগ কী চমৎকার প্রকাশ পাইতেছে! “প্ৰাণনাথ কেমন করিব আমি!” ইহাতে কতখানি আকুলতা প্ৰকাশ পাইতেছে! আমার প্রাণ তোমাকে লইয়া কী-যে করিতে চায় কিছু বুঝিতে পারি না। এত দেখিলাম, এত পাইলাম, তবুও প্ৰাণ আজও বলিতেছে “প্ৰাণনাথ কেমন করিব আমি!” বিদ্যাপতি বলিয়াছেন লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়ে রাখানু তবু হিয়ে জুড়েন না গেল! বিদ্যাপতি সমস্ত কবিতাটিতে যাহা বলিয়াছেন, ইহার এক কথায় তাহার সমস্তটা বলা হইয়াছে এবং তাহা অপেক্ষা শতগুণ অধীরতা ইহাতে ব্যক্ত হইতেছে। “প্ৰাণনাথ কেমন করিব আমি!” দ্বিতীয় ছত্ৰে রাধা শ্যামের মুখের দিকে আকুল নেত্ৰে চাহিয়া কহিতেছেন “ কে জানে কেমন তুমি!” যাহার এক তিল উধের্ণ উঠিলেই ভাষা মরিয়া যায়, সেই ভাষার শেষ সীমায় দাড়াইয়া রাধা বলিতেছেন “ কে জানে