পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\SO রবীন্দ্র-রচনাবলী ᏔᏔ0 શિરા তোমার চিঠি এইমাত্ৰ পাইলাম এবং এত দিনে পাইয়া অত্যন্ত আনন্দিত হইলাম। চিঠির জন্য আমি বহুদিন ধরিয়া অপেক্ষা করিতেছিলাম, কিন্তু ইংলন্ডে চিঠি আসিতে আজকাল যুগযুগান্তর লাগে। তুমি যে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের খবর পাঠাইয়াছ, তাহাতে বড়ো সুখী হইলাম। ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হইয়াছে বলিয়া বোধ হইল এবং সেজন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ; কিন্তু যদিও আমার স্ত্রীর শরীর অপেক্ষাকৃত একটু ভালো হইয়াছে, তবু তাহাতে আমি একটুও সন্তুষ্ট নই। ইংলন্ডে ফিরিয়া না আসা পর্যন্ত তব শরীর প্রকৃতপক্ষে ভালো হইবে না বলিয়া আশঙ্কা করি। ○8 তীর পক্ষে দরকার— শান্তিময় গৃহের আরাম; কিন্তু এই যে যুদ্ধ এখনো চলিতেছে, তাহাতে কেবল ভগবানই জানেন সে সময় কখন আসিবে। তোমার নিজের শরীরের কথা তুমি কিছুই লেখ নাই। আমি একান্ত আশা করি গরমে তুমি অতিমাত্র ক্লিষ্ট হও নাই ; গরমে যে কেমন করিয়া প্ৰাণ বাহির করিয়া দেয় এবং ভিজা নাকডাখানার মতো নেতাইয়া ফেলে, তাহা আমি জানি। এখানে আমি বড়ো এক-একা বোধ করিতেছি এবং আলাপ করিতে পারি। আমার এমন অন্তরঙ্গ বন্ধু নাই। ভাবী আশাও শরীর যেমন ছিল তাহার চেয়ে অনেক ভালো হইলেও, আমার শরীর এখনো ভালো হয় নাই। (&& ( &&— SQ আমাদেৱ পক্ষিশবকর ডিম্ব হইতে বাহির হইবার পর, অধিকাংশই প্রথম কয়েক সপ্তাহ কীট ছাড়া আর কিছুই খায় না এবং তাহদের অনেকেই সারা জীবন কীট-খাদক। শাবকের ভূবিভোজী এবং তাহাদের পিতামাতারা সমস্ত দিন তাহাদিগকে গড়ে প্রতি পাঁচ-ছয় মিনিট অন্তর খাওয়াইয়া থাকে; এ দিকে দিবালোকের সূচনা হইতেই তাহদের দিন শুরু হয় আর অন্ধকার না হওয়া পর্যন্ত তাহা শেষ হয় না। এই প্ৰত্যেক বাৱে বুদ্ধ পাখিরা একটি হইতে বারোটি কীট লইয়া আসে, ইতিমধ্যে তাহারা নিজে যাহা খায় সেটাকে আমরা ইহার মধ্যে ধরিতেছি না ; এইরূপে দেখা যাইবে একটিমাত্র পক্ষাপরিবার দিনে বহু শত কীট ভক্ষণ কুরে বস্তুত সতর্ক পর্যবেক্ষণের সাহায্যে হিসাব কািরয়া দেখা গেছে— একটি পক্ষীপরিবার দিনে পাঁচ শত হইতে বারো শত কীট বিনাশ করে। ঠিক সেই কীটগুলি ছাড়াও অনেক পাখি রাশি রাশি কীটভিস্ম ধ্বংস করে অনেক সময়েই তাহার পরিমাণ দিনে বহুসহস্ৰ হইয়া থাকে ; ᏭᏪ Ꭹ2 محصے আমি অধিক দূর অগ্রসর হইতে-না-হইতেই সূর্য অস্ত গেল এবং গোধূলির আলোকে আমি দুইটি পশুকে বন হইতে বাহির হইয়া পথের উপর আমার এক শত গজ আন্দাজ সম্মুখে আসিয়া দাড়াইতে দেখিলাম ; দ্বীপের ঐ অংশে যে বহুসংখ্যাক বন্য মহিষ বাস করে, আমি প্রথমে অস্পষ্ট আলোকে এই দুইটিকে তাহদেরই অপূৰ্ণবয়স্ক শাবক ভাবিয়ছিলাম। আমাকে যে পথ অতিক্ৰম করিয়া যাইতে হইবে তাহারই পার্শ্ববর্তী একটি বৃহৎ বৃক্ষের অভিমুখে তাহারা মস্তক নত কবিয়া অগ্রসর হইল এবং সেইখানে গাছের শিকড়ের চারি ধারে ঘুণ করিয়া বেড়াইতে লাগিল। আমি এখন তাহদের যথেষ্ট নিকটবতী হওয়াতে দেখিতে পাইলাম যে, তাহারা অতি বৃহদাকার ভল্লুক ! পাৰ্থে সরিয়া যাওয়া অসম্ভব ছিল, কারণ বনটি মহিষকণ্টক নামে খ্যাত একপ্রকার অতিদীর্ঘ কণ্টকপর্ণ হওয়াতে মনুষোর দূৰ্ভেদ্য ছিল। ফিরিয়া যাওয়ার কথা একবারও আমার মনে আসে নাই, বাস্তবপক্ষে আমার চিন্তা করিবার সময়ই ছিল না, কারণ, আমি এক্ষণে তাহদের ত্ৰিশ পদের মধ্যে আসিয়া পডিয়ছিলাম।