পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\ტ8 রবীন্দ্র-রচনাবলী মাপগুলো দেয়ালেতে করে ছটফট, পাখি যেন মারিতেছে পাখার ঝাপট। ঘণ্টা কেবলি দোলে ঢঙ ঢঙে বাজেযত কেন বেলা হােক তবু থামে না-যে। লক্ষ লক্ষ লোক বলে, “ থামো থামো, কোথা হতে কোথা যাবে এ কী পাগলামো।” কলিকাতা শোনে না কো চলার খেয়ালেনতোর নেশা তার স্তম্ভে দেয়ালে। কলিকাতা যাক নাকো সোজা বোম্বাই। দিল্লি লাহোরে যাক, যাক না আগরা, মাথায় পাগড়ি দেব, পায়েতে নাগরা। ইংরেজ হবে সবে বুট হাট কোটে ! কিসের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল যেই দেখি, কলিকাতা আছে কলিকাতাতেই ৷ দ্বাদশ পাঠ গুপ্তিপাড়ার বিশ্বম্ভববাবু প্যাক্ট, চ’ঙে চলেছেন। সপ্তগ্রামে। ফাল্গুন মাস! কিন্তু এখনো খুব ঠাণ্ডা। কিছু আগে প্রায় সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হয়ে গেছে। বিশ্বম্ভরবাবুর গায়ে এক মোটা কম্বল। পান্ধীর সঙ্গে চলেছে। uB BBu uBS B0 SB BuB Bu S yBDB BDuB DBDBB BBBS SBu uBB BB S BDB BBB BDBDD s Pro M ' . чvvнчиж” vн Warrier LS LLLSSSSSSSMSSSSSSS SSSSSSMSMSSLLLSLLLLLSSS SAAAqS w %. জোর ; একবার কুম্ভীরার জঙ্গলে তাকে ভল্লকে ধরেছিল। সঙ্গে বন্দুক ছিল না, শুদ্ধ কেবল লাঠি নিয়ে ভল্লকের সঙ্গে তার যুদ্ধ হল শাস্তুর হাতের লাঠি খেয়ে ভল্লকের মেরুদণ্ড গেল ভেঙে ; আর তার উত্থানশক্তি রইল না। আর একবার শাস্তু বিশ্বস্তুরবাবুর সঙ্গে গিয়েছিল স্বর্ণগঞ্জে। সেখানে পদ্মানদীর চারে রান্না চড়াতে হবে তখন গ্রীষ্মকালের মধ্যাহ্ন ? পদ্মার ধারে ছোটো ছোটো ঝাউগাছের জঙ্গল। উনান ধরানো চাই ; দা নিয়ে শম্ভ ঝাউডাল কেঢ়ৈ আটি বাধল। অসহ্য রৌদ্র ৷ বড়ো তুষ্ণা পেয়েছে। নদীতে শাস্তু জল খেতে গেল ! এমন সময় দেখিলে, একটা বাছুরকে ধরেছে কুমীরে। শাস্তু এক লম্বেফ জলে পড়ে কুমীরের পিঠে চড়ে বসলি: দা দিয়ে তার গলায় পোচ দিতে লাগল। জল লাল হয়ে উঠল রক্তে ; কুমীর যন্ত্রণায় বাছুরকে দিল ছেডে শাস্তু সাতার দিয়ে ডাঙায় উঠে এলো। বিশ্বম্ভরবাবু ডাক্তার। রোগী দেখতে চলেছেন বহুদূরে। সেখানে ইস্টিমার ঘাটের ইস্টেশন-মাস্টার মধু বিশ্বাস, তার বিষ্ণুপুরের পশ্চিম ধারের মাঠ প্ৰকাণ্ড ; সেখানে যখন পান্ধী এল তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। রাখাল গোরু নিয়ে চলেছে গোষ্ঠে ফিরে ; বিশ্বম্ভরবাবু তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ওহে বাপু, সপ্তগ্রাম রাখাল বললে, “আজ্ঞে, সে তো সাত ক্রোশ হবে। আজ সেখানে যাবেন না। পথে ভীস্মহাটের মাঠ, তার কাছে শ্মশান। সেখানে ডাকাতের ভয় ।” ডাক্তার বললেন, “বাবা, রোগী কষ্ট পাচ্ছে, আমাকে যেতেই হবে।” তিলুনি খালের ধারে যখন পান্তী এল, রাত্রি তখন দশটা। বাধন আলগা হয়ে পান্ধীর ছাদ থেকে ডাক্তারের বাক্সটা গেল পড়ে! ক্যাস্টর আয়েলের শিশি ভেঙে চূৰ্ণ হয়ে গেল। বাক্সটা তো ফের শক্ত ক'রে বাধলে। কিন্তু আবার বিপদ।। খাল পেরিয়ে আন্দাজ দু-ক্রোশ পথ গেছে এমন সময় মড়মড় ক’রে ডাণ্ডা গেল ভেঙে, পাঙ্কীটা পড়ল