পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8SO রবীন্দ্র-রচনাবলী বাপের অপ্ৰসন্নতা কেমন করে মিলিয়ে গেল, কী মনে হলো তার। গল্পের শেষ ভাগে কী বেদনা জেগে উঠল কাবুলীর মনে। সমস্ত গল্পের মর্মকথাটা কী। বাগান বাড়ির চারি দিকে একখানি বাগান তৈরি করে তোলা যে বিলাসিতার আড়ম্বর নয়, চরিত্রগঠনের পক্ষে তার যে একটা প্রয়োজন আছে, তার প্রতি অবহেলায় নিজেকে এবং অন্য সকলকে অসম্মান করা হয় সে কথা বুঝিয়ে বলে। বিদ্যাসাগরের ছাত্রজীবন এই লেখায় বিদ্যাসাগরের চরিত্রের যে যে বিশেষত্বের কথা পড়েছ তার উল্লেখ ক’রে লেখো। সাক্ষী সহজ করে সরল ভাষায় এই গল্পটি লেখো। এই কথাটি মনে রেখো যে ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে কেবল যে রামকানাইয়ের শাস্তি হলো তা নয়, তার নিজের সাধুতার খ্যাতি হলো না। বুদ্ধিমানেরা তাকে নির্বোিধ ও চতুর লোকেরা তাকে দুর্বল ভীরু বলে অবজ্ঞা করলো, এতেই তার চরিত্ৰগৌরব আপনার ভিতর থেকে যথার্থ মূল্য পেয়েছে। ইংলন্ডের পল্লীগ্রাম বাগান প্রবন্ধে যে তত্ত্বটি আছে। এই প্রবন্ধে তারই দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে। গরিব চাষী, কঠিন পরিশ্রমে তাকে দিন কাটাতে হয়, তবু সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফিরে এসে বাসস্থানকে সুন্দর ক'রে তোলবার জন্যে এই যে উৎসাহ তাকে দেওয়া হয় ভেবে দেখতে গেলে এটা সমস্ত দেশের প্রতি কর্তব্যসাধন। দেশকে শ্ৰীসম্পন্ন ক'রে তোেলবার দায়িত্ব ব্যক্তিগতভাবে প্ৰত্যেক লোকের স্বীকার ক’রে নেওয়া উচিত। এই অধ্যবসায়ের অভাবে আমাদের দেশের পল্লীগ্রামের কী রকম দুরবস্থা তোমার অভিজ্ঞত থেকে তার বর্ণনা করো। জাহাজের খোল জ্যোতিরিন্দ্ৰনাথ স্বদেশের যে হিতসাধনায় নিজের সর্বস্ব ক্ষয় করেছিলেন এই লেখায় তারি কিঞ্চিৎ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই জাহাজ চালানো অবলম্বন ক’রে অনেকে এমন ব্যবসায় ক’রে থাকেন যাতে তাদের অর্থলাভ হতে পারে। কিন্তু জ্যোতিরিদ্রের ব্যবসায় যে সিদ্ধি-লাভের অভিমুখে ছিল তা অর্থলাভের বিপরীত দিকে। তার সেই দেউলে হওয়া অধ্যবসায়ের বিবরণ আপন ভাষায় লেখাে। যে উৎসাহের উৎস তার মনের মধ্যে অক্ষয় হয়েছিল ব'লে এত বড়ো ক্ষতির মধ্যে তাকে অবসাদগ্ৰস্ত করতে পারে নি। সেইটিই এই প্ৰবন্ধের মূল কথা। উদ্যোগশিক্ষা দেহে ও মনে, জ্ঞানে ও কর্মে, মানুষকে সম্পন্ণুভাবে বেঁচে থাকতে হবে- তাকে শিক্ষাদান করার উদ্দেশ্য এই। পুঁথিগত বিদ্যায় আমরা এমন অভ্যস্ত যে এই সর্বাঙ্গীণ শিক্ষাকে আমরা অনায়াসে উপেক্ষা করি। চারিদিকের প্রতি আমাদের ঔৎসুক্য চ'লে গেছে। নানা প্রয়োজনের দাবি আমাদের চার দিকে অথচ মনের জড়তুবশত সে দাবি আপন বুদ্ধিতে মেটাবার প্রতি উৎসাহ নেই, বহুকেলে বাধা প্ৰণালীর প্রতি ভর দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকি। এ সম্বন্ধে শান্তিনিকেতন আশ্রমে লেখক যে সব ব্যর্থতার লক্ষণ দেখেছেন তারি। উল্লেখ করে প্রসঙ্গটির আলোচনা করো। দেবীর বলি এই গল্পাংশের মধ্যে যে কয়টি বর্ণনা আছে তাদের কী রকম করে কলিয়ে তোলা হয়েছে তা বুঝিয়ে বলবার চেষ্টা করো। প্রথম জনশূন্য রাত্রি, দ্বিতীয় জয়সিংহের চরম আত্মনিবেদনের সংকল্প, তৃতীয় মন্দিরে রঘুপতির অপেক্ষা, চতুর্থ জয়সিংহের আত্মহনন। -