পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(SO রবীন্দ্র-রচনাবলী চণ্ডিদাস ও বিদ্যাপতি RPTr y qbyy दgा। Ke » Rird বাউলের গান o Soo 5ना ফাল্গুন ১২৯১ এক-চোখো সংস্কার পৌষ ১২৮৮ একটি পুরাতন কথা VSR SSS ‘মেঘনাদবধ কাব্য' সম্বন্ধে উত্তরকালে রবীন্দ্রনাথ ‘জীবনস্মৃতি” গ্রন্থে এরূপ লিখিয়াছেনইতিপূর্বেই আমি অল্প বয়সের স্পদ্ধার বেগে মেঘনাদবধের একটি তীব্র সমালোচনা লিখিয়াছিলাম। কাচা আমের রসটা অমরস- কাচা সমালোচনাও গালি-গালাজ। অন্য ক্ষমতা যখন কম থাকে তখন খোচা দিবার ক্ষমতােটা খুব তীক্ষ হইয়া উঠে। আমিও এই অমর কাব্যের উপর নখরাঘাত করিয়া নিজেকে অমর করিয়া তুলিবার সর্বাপেক্ষা সুলভ উপায় অন্বেষণ করিতেছিলাম।— প্রথম সংস্করণ, পৃ. ১০৭ রবীন্দ্রগ্রন্থাবলীর শেষাংশে (পৃ. ১১৩৭-৭১ / ১০৫৩-১১৩৬) বাংলা ১৩১১ সনে; সমালোচনা গ্রন্থে বহুপরবর্তী কালের রচনা ‘কাব্যের উপেক্ষিতা (ভারতী, জ্যৈষ্ঠ ১৩০৭) সংকলিত হইলেও পরে যথাযোগ্য স্থানে অর্থাৎ প্রাচীন সাহিত্য গ্রন্থে সন্নিবেশিত। সমালোচনার কয়েকটি প্ৰবন্ধ সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞাতব্য যাহা এ স্থলে সংক্ষেপে বলা যায়। উল্লিখিত তালিকায় চতুর্থ প্ৰবন্ধ 'মেঘনাদবধকাব্য’; এ বিষয়ে এটিই ববীন্দ্রনাথের প্রথম রচনা নয় তাহা হয়তো সকলেরই জানা আছে; রবীন্দ্রনাথ-কৃত ঐ কাব্যের প্রথম আলোচনা বা ‘তীব্ৰ সমালোচনা' ধারাবাহিকভাবে ভারতী পত্রের প্রথম বর্ষে (১২৮৪) শ্রাবণ, কাৰ্তিক, পৌষ, ফাল্গুন, এই কয়টি সংখ্যায়। গ্রন্থের তথা তালিকার শেষ প্ৰবন্ধটি রচনার, সাধারণ সমক্ষে পাঠের ও পরে ভারতী পত্রে প্রচারের হেতুস্বরূপ হয় প্রচার পত্রের প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত (শ্রাবণ ১২৯১, পৃ. ১৫) “হিন্দুধর্ম’ শীর্ষক বঙ্কিমচন্দ্রের একটি প্রবন্ধ। ইহার আগে পরে ভারতী ও বালক পত্রে (চৈত্র ১২৯২ : "সত্য'// পরবতী বৈশাখে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় সংকলিত, উপস্থিত কেবল আভ্যন্তরীণ প্রমাণে এটিকে রবীন্দ্ররচনা বলা যায়) অনেকগুলি প্ৰবন্ধকেই সত্য কী এবং সত্যনিষ্ঠা কিরূপ ও কেন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সমালোচনা-ধূত (সাময়িক পত্রে প্রচার জানা নাই) “সত্যের অংশও সেই ধারাতেই রচিত। “নীরব কবি ও অশিক্ষিত কবি যে নামান্তরে ভারতী পত্রে প্রকাশিত তাহার উল্লেখ করা হইয়াছে তালিকায়। প্রথম প্রচারিত মূল প্রবন্ধের কোনো কোনো অংশ (বিশেষতঃ শেষ ভাগ) গ্রন্থে বর্জন করা হইয়াছে- উক্ত শেষ ভাগে ভারতচন্দ্রর বিদ্যাসুন্দর ও কবিকঙ্কণ চণ্ডী সম্পর্কে কিছু আলোচনা আছে। ইহা উল্লেখযোগ্য। বর্তমান প্রবন্ধ প্রচারের কয়েক বৎসর পরে নীরব কবির প্রসঙ্গটি পুনরুজ্জীবিত হয় রবীন্দ্রনাথের এক পত্রে; ৩০ আষাঢ় ১৩০০ তারিখ দিয়া সেটির সংকলন ছিন্নপত্র বা ছিন্নপত্রাবলীতে। ১-১ রবীন্দ্র-রচনাবলীর বর্তমানখণ্ডের পুনর্মুদ্রণে নুতন করিয়া সম্পাদনার প্রয়োজন তেমন হয় নাই কিন্তু গ্রন্থপরিচয়ে কিছু নূতন তথ্য সংকলন প্রত্যাশিত এবং সংগত। ১-১ চিহ্নিত অনুচ্ছেদ কয়টি সেরূপ সংযোজন। বর্তমান গ্রন্থপরিচয়ের সর্বশেষ বাক্যটিও পরিবর্তিত স্থান কাল পাত্রের অনুরোধে নৃতন করিয়া লিখিতে হইয়াছে। গ্রন্থপরিচয় সম্পাদনা করিয়াছেন শ্ৰীকানাই সামন্ত। ১৩৮২ বঙ্গাব্দ। ২ দ্রষ্টব্য: দেবতত্ত্ব ও হিন্দুধর্ম-অন্তর্গত 'হিন্দুধর্ম, পৃ. ৭৭৬ বঙ্কিম রচনাবলী-২ (সাহিত্যসংসদ yoaw)