পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় (? RS2 দেওয়া আছে। প্রথম সংস্করণের পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ১৪০; ‘বাক্যাবলী সংখ্যা ছিল ২২৬। পুস্তকের শেষ পৃষ্ঠায় মুদ্রাকর-বিজ্ঞপ্তি এইভাবে দেওয়া আছে Printed by Jagadananda Roy At the Santiniketan Press Brahmacharya-Ashram. Dist. Birbhum ১৩৪০ সালে প্ৰকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণ, সামান্য পরিবর্তিত। রচনাবলীতে দ্বিতীয় সংস্করণটি পুনমূদ্রিত হইয়াছে। এই পুস্তকও প্রচলিত। সহজপাঠ ‘সহজ পাঠ’ প্ৰথম ভাগ ও দ্বিতীয় ভাগ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে [১০ মে ১৯৩০] বাহির হয়। পৃষ্ঠাসংখ্যা যথাক্রমে ৫৩ ও ৫১। এই দুইটি সচিত্র পুস্তক অদ্যাবধি প্ৰচলিত ইংরাজি-পাঠ ‘ইংরাজি পাঠ কালক্রমে ‘ইংরেজি শ্রুতিশিক্ষা'র পূর্বে বা পরে বলা যায় না। তবে, ইহা ১৯০৯ খৃস্টাব্দে [ ১০ সেপ্টেম্বর] বাহির হয়। পৃষ্ঠাসংখ্যা ৪২। ইহা হরিচরণ মান্না। -দ্বারা, ২০ কর্নওয়ালিশ স্ট্রীট, কান্তিক প্রেসে মুদ্রিত হইয়া, ৭০ কলুটােলা স্ট্রীট, হিতবাদী লাইব্রেরি হইতে মনোরঞ্জন বন্দোপাধ্যায় কর্তৃক প্ৰকাশিত হইয়াছিল। ইংরেজি-শ্রুতিশিক্ষা ও ইংরেজি-সহজশিক্ষা যেহেতু ইংরাজি-সোপানের রূপান্তর বলিয়াই গণা হইবে। এজন্য শেষোক্তের অব্যবহিত পরে যাওয়াই শ্রেয় মনে হয়। তাহার পরেই ইংরাজি পাঠ দেওয়ার যুক্তি থাকিলেও, নানা কারণে রচনাবলী’র বর্তমান মুদ্রণে সেরূপ কোনো পরিবর্তন করা হইল না ! Srள் அது * জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিদাবিতরণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী লোকশিক্ষাসংসদের পাঠ্যতালিকা-অবলম্বনে রচিত “আদর্শ প্রশ্ন। প্রথম ভাগ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্ৰণীত' ১৯৪০ সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বভারতীর “Bulletin No. 27” রূপে প্ৰকাশিত ও চার আনা মূল্যে প্রচারিত হয়। প্রশ্নপত্রের ধারাপরিবর্তন সম্বন্ধে, ‘আদর্শ প্রশ্নের ভূমিকায় শান্তিনিকেতনের তৎকালীন অধ্যাপক তনয়েন্দ্ৰনাথ ঘোষ লেখেন— ‘প্রশ্ন করিয়া লিখিত উত্তরের যোগে পরীক্ষক যে পরীক্ষার্থীর বিদ্যার পরিচয় গ্রহণ করিবেন। ইহার মধ্যে একটি গুরুতর অসংগতি আছে। প্রচলিত পরীক্ষাগুলিতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্বন্ধ সচরাচর ঘটে না- ইহাই অসংগতি । প্রশ্নপত্রের সাংকেতিক ভাষা পরীক্ষকের মর্মজ্ঞ অধ্যাপকের সাহায্যে পরীক্ষাথীর বোধগম্য হইয়া থাকে। কোন প্রশ্নের কী-উত্তর লিখিতে হয় সে বিষয়ে তাহার কিছু জ্ঞান থাকে। এইরূপে পূর্বোক্ত অসংগতির আংশিক লাঘব হয়। কিন্তু বিদ্যালয়সংস্পৰ্শ-বৰ্জিত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষকের মর্মজ্ঞা এরূপ কোনো মধ্যবতী। সহায় না থাকায় বর্তমান পরীক্ষা প্ৰণালীর অবশ্যম্ভাবী অসংগতির দূরীকরণ দুঃসাধ্য। এই অবস্থা বিবেচনা করিয়া রবীন্দ্রনাথ ভাবিলেন যে প্রশ্নের ভাষায় যদি এমন কোনো গৃঢ় সংকেত না থাকে যাহা কেবলমাত্র বিদ্যালয়ে বিদ্যাভ্যাস|করিলেই বোঝা যায়; তাহা হইলে প্রশ্নপত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করার পদ্ধতি কথঞ্চিৎ সংগীতরূপে প্রচলিত হইতে পারে। এইজন্যই এই পুস্তকে প্রদত্ত প্রশ্নের নমুনা বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করিবার বিষয়। প্রশ্নগুলির দৈর্ঘ্য সনাতন নিয়মে অভ্যন্ত