পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Aኃ8 রবীন্দ্র-রচনাবলী বিজ্ঞতা সৎকর্ম-অনুষ্ঠানের অনেক বাধা আছে, কিন্তু সকলের চেয়ে বোধ করি একটি গুরুতর বাধা আছে! যখন বড়োবডো বিজ্ঞগণ ঠোঁট টিপিয়া, চোখে চশমা আঁটিয়া, শিশু অনুষ্ঠানটিকে ঘিরিয়া বসেনসোজা সোজা কাজের মধ্য হইতে বাকা বাকা উদ্দেশ্য বাহির করিতে থাকেন ও পরস্পর চোখ-টেপটিপি করিয়া বলিতে থাকেন “ওহে, বুঝেছি। এ সমস্ত কেন?” তখন বোধ করি উৎসাহের রক্ত জল হইয়া যায়, উদ্যামের হাত-পা শিথিল হইয়া পড়ে। এই সকল তীক্ষনাসিকা ক্ষুরোজিলচক্ষু ধারালো-পেচালো-বুদ্ধি-গণ তিল হইতে তাল, সামান্য হইতে অসামান, সৎ হইতে অসৎ আবিষ্কার করিয়া সদনুষ্ঠানের প্রাণে বাকা কটাক্ষপাত করিয়া তাহার চোখ দিয়া জল তাহার বুক দিয়া রক্ত বাহির করিয়া দেন ; সপজাতি বোধ করি বড়ো বুদ্ধিমান হইবে, নহিলে তাহারা বাকিয়া চলে কেন ? হে বিজ্ঞগণ, তোমরাও খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু একটা বিষয় তোমাদের জানা নাই— পৃথিবীতে সিধা জিনিস ও অনেক আছে ; তোমাদের প্রাণের বাকা আশিতে যে একটা বাকা ছায়া দেখিতেছি এ জগতের চেহারাখানা নিতান্তই আমনতৱ না হয়। হায়! জন্মেজয় যখন সপসত্ৰ কবিয়ছিলেন তখন কি গোটকতক টেঙা সাপই মরিয়াছিল, তোমাদের মতো বিষাক্ত বুদ্ধিমান সাপগুলা ছিল কোথায় ? তুমি সৎকাব্য করিতেছ। বলিয়া বিজ্ঞ লোকেরাও যে তাঁহাকে সৎ মনে করিবে, এ কী করিয়া আশা করা যায় ? তাহা হইলে বিধাতা তাহাদিগকে বিজ্ঞা করিয়াই গড়িলেন কেন ? বসন্ত আসিয়াছে বলিয়া কি কাক মিঠা ডাকিবে ? তাহা হইলে বিধাতা তাহাকে কাক করিলেন কেন ? সে যে বুদ্ধিমান পক্ষী! যখন কোকিল ডাকিতে থাকে, ফুল ফুটিয়া উঠে, বাতাস প্ৰাণ খুলিয়া দেয়, তখন সে শাখায় বসিয়া বুদ্ধিপূর্ণ ক্ষুদ্র চক্ষু মিটমিট করিতে থাকে, অবিশ্বাসের সহিত চারি দিকে চাহিয়া দেখে ও বেসুরে ডাকিয়া উঠে কা! বসন্তের সহিত তাহার সুর মেলে না বলিয়া সে কি চুপ করিয়া থাকিবে ? সে যে বুদ্ধিমান জীব! সে বলে, বসন্তের সুর বেসূরা বলিতেছে। যখন কোকিল ডাকে আমনি সে ঘাড় নাডিয়া বলে কা— যখন ফুল ফুটে আমনি সে ঘাড় নাডিয়া বলে কা— অর্থাৎ কিছুতেই সে সায় দিতে পারে না, সে বলে যে, আগাগোডা সুর মিলিতেছে না : শুনা গেছে, মনুষালোকে এমন অঙ্গহীন দেখা যায় যাহার একটা কান নাই, এমন-কি দুইটা কানই খরচ হইয়া গেছে; হে কাক, স্বভাবতই— জন্মাবধিই তোমার কাণের অভাব।— অতএব কে তোমার কান ধরিয়া শিখাইবে যে তোমার গলাটাই বেসুৱা । কিন্তু তবুও ফুল ফোটে কেন, তবুও কোকিল ডাকে কেন ? বসম্ভের প্রাণের মধ্যে বসিয়া কে এমন একটা তানপুরা বাজাইতেছে, যাহতে এত বেসুরের মধ্যে ও সে আমন সুর ঠিক রাখিতেছে । কিন্তু সুর কি ঠিক থাকে y সাধ কি যায় না। গান বন্ধ করি % ক'জনের প্রাণ এমন আছে যাহারা বেতালা ਸ5ਣ -- BBBG uHBBuDDDBD BDBBB00D BuBuSuD Buu BBDB uu S BBBBS BBBD0D SDBDS DBDBD SS DDSJS S BuuuS সময় ভোক গুলা অসম্ভব ਜਿ উঠিয়া জগৎ-স প্রসারে ভাঙা গলায় নিজের মত জারি কবিতে থাকে, তখন কোকিল চুপ করিয়া যায়। আচ্ছা, স্বীকার করিলাম— হে ভেকগণ তোমাদেরই জয় তোমাক? · hs h".• " . 1 ሎ'የ • • -- .. - ۔ گ...............سس ۔ de Mo - as -æ--n n * *r a"-v' ' * * *****grr*p- "---"---"y" or "" - rwr "yr ---! کی۔ ۔ ۔ BuB uDuDuD DDDBSH uBu BBD DDS uBuB BuBB BBB SS SDBB BEE EE ÷i፥ ነr ኃና{v • ሪ ና “• , DBDB BBuBkS 0 hySuBuHSuBJJS S0SBBuBD STuheSkuuDu S হে বিধাতা, জগতে কাক সৃষ্টি করিয়াছ বলিয়া তোমার দোষ দিই না। কাকের অনেক কাজ আছে কিন্তু তাহাকে যে কাজ দিয়াছ সেই কাজেই সে লিপ্ত থাকে না কেন ? সৌন্দর্যপূর্ণ বসন্তের প্রাণের মধ্যে সে কেন তাহার কঠোর কণ্ঠের চঞ্চ বিধিতে থাকে ? সৎ-উদ্দেশ্যের প্রতি অকাট্য সংশয় বিদ্যমান। এইজনা সৎকার্যের নাম শুনিলেই ইহাদের সংশয়কৃঞ্চিত অধরেীষ্ঠের চারি দিকে পাগুবৰ্ণ মড়কের মতো একটা বিষাক্ত হাসি ফুটিয়া ওঠে। অতিবৃদ্ধিমান জীবের সম্মুখের দাতের পাটিতে যে একটা দারুণ হাস্যবিষ আছে, হে জগদীশ্বর, সেই বিষ হইতে পৃথিবীর সমুদয় সৎকার্যকে রক্ষা করো। ইহারা যখন পরস্পর টেপটিপি করিয়া বলিতে থাকেন, “এই লোকটার