পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> >ર রবীন্দ্র-রচনাবলী এসে নীপবনে ছায়াবীথিতলে, এসো করে। স্নান নবধারাজলে । দাও আকুলিয়া ঘন কালে কেশ, পরে দেহ ঘেরি মেঘনীল বেশ— কাজল নয়নে, যুর্থীমালা গলে, এসে নীপবনে ছায়াবীথিতলে । আজি খনে খনে হাসিখানি সখী, অধরে নয়নে উঠক চমকি । মল্লারগানে তব মধুস্বরে দিক বাণী আনি বনমর্মরে— ঘন বরিষনে জলকলকলে এসে নীপবনে ছায়াবীথিতলে । রাজা। উত্তম। কিন্তু চাঞ্চল্য যেন কিছু বেশি, বৰ্ষাঋতু তো বসন্ত নয়। নটরাজ। তা হলে ভিতরে তাকিয়ে দেখুন। সেখানে পুলক জেগেছে ; সে পুলক গভীর, সে প্রশান্ত । مخينه সভাকবি। ঐ তো মুশকিল। ভিতরের দিকে ? ও দিকটাতে বাধ। রাস্ত। নেই তো । নটরাজ। পথ পাওয়া যাবে স্বরের স্রোতে। অন্তরাকাশে সজল হাওয়া মুখর হয়ে উঠল। বিরহের দীর্ঘনিশ্বাস উঠেছে সেখানে— কণর বিরহ জন নেই। ওগো গীতরসিকা, বিশ্ববেদনার সঙ্গে হৃদয়ের রাগিণীর মিল করে। ঝরে ঝর ঝর ভাদর-বদর, বিরহকাতর শর্বরী । ফিরিছে এ কোন অসীম রোদন কানন কানন মর্মরি। আমার প্রাণের রাগিণী আজি এ গগনে গগনে উঠিল বাজিয়ে । হৃদয় এ কী রে ব্যাপিল তিমিরে সমীরে সমীরে সঞ্চরি ॥ রাজা। কী বল হে, কী মনে হচ্ছে তোমাল ।