পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७8 রবীন্দ্র-রচনাবলী জীত যেখানে কেই দেখব শ্রদ্ধ করে করে বেড়াব? মাল যাচাই নেই, একেবারে wholesale শ্রদ্ধা ? একে বলে protection, ব্যাবসাদারিতে বাইরে থেকে কৃত্রিম মামুৰাচাপিয়ে দর-বাড়ানে।” । 疇 % ... “মিথ্যে তর্ক কোরো না।” “অর্থাৎ তুমি তর্ক করবে, আমি করব না। একেই বলে, ‘দিন ভয়ংকর, মেয়ের বাক্য কবে কিন্তু পুরুষরা রবে নিরুত্তর’।” * * so “অভৗ, তুমি কেবলই কথা-কাটাকাটি করবার অছিলা খুঁজছ। বেশ জান আমি বলতে চাইছিলুম, মেয়েদের থেকে স্বভাবত একটা দূরত্ব বঁচিয়ে চলাই পুরুষের পক্ষে ং ভদ্রতা ।” “স্বভাবত দূরত্ব বাচানে, ন৷ অস্বভাবত ? আমরা মডার্ন, মেকি ভদ্রত মানি নে, খাটি স্বভাবকে মানি । শীলকে পাশে নিয়ে ঝণকানি-দেওয়া ফোর্ডগাড়ি চালাই, স্বাভাবিকত হচ্ছে তার পাশাপাশিটাই। ভদ্রতার খাতিরে মাঝখানে দেড়হাত জায়গা রাখলে অশ্রদ্ধ করা হত স্বভাবকে ।” “অভী, তোমরা নিজের থেকে মেয়েদের বিশেষ মূল্য দিয়ে দামী করে তুলেছিলে, তাদের খেলো কর নি নিজের গরজেই। সেই দাম আজ যদি ফিরিয়ে নাও নিজের খুশিকেই করবে সস্ত, ফাকি দেবে নিজের পাওনাকেই। কিন্তু মিথ্যে বকছি, মডার্ন, কালটাই খেলো।” ங் অভীক জবাব দিলে, “খেলে বলব না, বলব বেহায় । সেকালের বুড়োশিব চোখ বুজে বসেছেন ধ্যানে, একালের নদীভৃঙ্গী আয়না হাতে নিয়ে নিজেদের চেহারাকে ব্যঙ্গ করছে— যাকে বলে debunking । জন্মেছি একালে, বোমভোলানাথের চেল। হয়ে কপালে চোখ তুলে বসে থাকতে পারব না ; নন্দীভৃঙ্গীর বিদঘুটে মুখভঙ্গির নকল করতে পারলে আজকের দিনে নাম হবে ।” “আচ্ছ। আচ্ছ, যাও নাম করতে দশ দিককে মুখ ভেঙচিয়ে। কিন্তু তার আগে আমাকে একটা কথা সত্যি করে বলে, তোমার কাছে আশকার পেয়ে রাজ্যের যত মেয়ে তোমাকে নিয়ে এই যে টানাটানি করে এতে কি তোমার ভালোলাগার ধার ভেঁাতা হয়ে যায় না। তোমরা কথায় কথায় যাকে বল thrill, ঠেলাঠেলিতে তাকে কি পায়ের নীচে দ’লে ফেলা হয় না।” “সত্যি কথাই বলি তবে, বী, যাকে বলে thrill, যাকে বলে ecstasy, সে হল পয়লা নম্বরের জিনিস, ভাগ্যে দৈবাৎ মেলে। কিন্তু তুমি যাকে বলছ ভিড়ের মধ্যে টানাটানি, সে হল সেকেওহাও দোকানের মাল, কোথাও বা দাগী:কোথাও বা