পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোগশয্যায় দৃষ্টির অতীত ক্রটি করিয়া ভেদন সম্বন্ধের দৃঢ় স্বত্র করিছে ছেদন ; ইঙ্গিতের স্ফুলিঙ্গের ভ্রম পশ্চাতে ফেরার পথ চিরতরে করিছে দুর্গম । দারুণ ভাঙন এ যে পূর্ণেরই আদেশে ; কী অপূর্ব স্বষ্টি তার দেখা দিবে শেষে— গুড়াবে অবাধ্য মাটি, বাধা হবে দুর, বহিয়। নূতন প্রাণ উঠিবে অঙ্কুর । হে অক্ষমা, স্বষ্টির বিধানে তুমি শক্তি যে পরম ; শান্তির পথের কাট। তব পদপাতে বিদলিত হয়ে যায় বারবার আঘাতে আঘাতে । জোড়ার্সাকে। ১৩ নভেম্বর, ১৯ ৪ : >ペ সকাল বেলায় উঠেই দেখি চেয়ে, যাহ। তাহ রয়েছে ঘর ছেয়ে— খণতপত্র কোথায় রাখি কী যে, হাতড়ে বেড়াই, খুজে না পাই নিজে । দশমী যত কোথায় কী হয় জমা— ছড়াছড়ি, নাই কোনো তার সেমিকোলন কম । পড়ে অাছে পত্রবিহীন লেফাফা সব ছিন্ন— এই তো দেখি পুরুষ জাতের জাত-কু ড়েমির চিহ্ন । পরক্ষণেই নামে কাজে মেয়ের হস্ত দুটি, মুহূর্তেকেই বিলুপ্ত হয় যেথায় যত ক্রটি। দ্রুত হস্তে নিলজ সব বিশৃঙ্খলার প্রতি নিয়ে আসে শোভন। তার চরম সদগতি । ছেড়ার ক্ষত আরোগ্য হয়, দাগীর লজ। ঢাকে, অদরকারীর গোপন বাস। কোথাও নাহি থাকে।