পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। ङिन मन्तै । । १११ ।। কাচা বয়সে ও যে এক মালাজপকারিণীর হাতে মালার গুটি বনে গেছে। ওকে । বাচাবে কিসে— না যৌবন, না বুদ্ধি, না বিজ্ঞান।” । n “আচ্ছ একদিন ওঁকে এখানে চ খেতে ডাকতে পারি কি। আমাদের মতো অশুচির ঘরে খাবেন তো ?” o “অশুচি ! না খায় তো ওকে আছড়ে আছড়ে এমনি শুচি করে নেব যে বামনাইয়ের দাগ থাকবে না ওর মজ্জায়। একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, তোমার নাকি একটি সুন্দরী মেয়ে আছে ?” 曲 “আছে। পোড়াকপালী সুন্দরীও বটে। তা কী করব বলুন।” “না না, আমাকে ভুল কোরো না। আমার কথ। যদি বল, সুন্দরী মেয়ে আমি পছন্দই করি । ওটা আমার একটা রোগ বললেই হয়। কিন্তু ওর আত্মীয়েরা বেরসিক, ভয় পেয়ে যাবে।” “ভয় নেই, আমি নিজের জাতেই মেয়ের বিয়ে দেব ঠিক করেছি।” এটা একেবারে বানানো কথা । “তুমি নিজে তো বেজাতে বিয়ে করেছ।” “নাকাল হয়েছি কম নয়। বিষয়ের দখল নিয়ে মামলা করতে হয়েছে বিস্তর। যে করে জিতেছি সেটা বলবার কথা নয়।” “শুনেছি কিছু কিছু। বিপক্ষ পক্ষের আর্টিকেলড ক্লার্ক কে নিয়ে তোমার নামে গুজব রটেছিল। মকদ্দময় জিতে তুমি তো সরে পড়লে, সে লোকটা গলায় দড়ি দিয়ে মরতে যায় আর কি ” "এত যুগ ধরে মেয়েমানুষ টিকে আছে কী করে। ছল করার কম কৌশল লাগে না, লড়াইয়ের তাগবাগের সমানই সে, তবে কিনা তাতে মধুও কিছু খরচ করতে হয়। এ হল নারীর স্বভাবদত্ত লড়াইয়ের রীতি।” “ঐ দেখে, আবার তুমি আমাকে ভুল করছ। আমরা বিজ্ঞানী, আমরা বিচারক নই, স্বভাবের খেলা আমরা নিষ্কাম ভাবে দেখে যাই । সে খেলায় যা ফল হবার তা ফলতে থাকে। তোমার বেলায় ফলটা বেশ হিসেবমতোই ফলেছিল, বলেছিলুম, ধন্য মেয়ে তুমি। এ কথাটাও ভেবেছি, আমি যে তখন প্রোফেসর ছিলুম, আর্টিকেলড ক্লার্ক ছিলুম না, সেটা আমার বাচোয়। মার্করি স্বর্ষের কাছ থেকে যতটুকু দুরে আছে ততটুকু দূরে থেকেই বেঁচে গেল । ওটা গণিতের হিসাবের কথা, ওতে ভালো নেই মন্দ নেই। এসব কথা বোধ হয় তুমি বুঝতে শিখেছ।” “ত শিখেছি। গ্রহগুলো টান মেনে চলে আবার টান এড়িয়ে চলে— এটা