পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন সঙ্গী । २brs চিঠি লিখে সাহিত্যচর্চ করত।” “কেমন লাগত ?” t *সত্যি কথা বলব ? খারাপ লাগত না। স্বামী চলে যেতেন কাজে, ভাবুকদের মন আশেপাশে ঘুর ঘুর করত।” d – “কিছু মনে কোরে না, আমি সাইকলজি স্টাডি করে থাকি। জিগ গেস করি, ওর কিছু ফল পেত কি।” “বলতে ইচ্ছে করে না, নোংরা আমি। ছচারজনের সঙ্গে জানাশোনা হয়েছে যাদের কথা মনে পড়লে আজও মনের মধ্যে মুচড়িয়ে ধরে।” “দ্ধচারজন ?” $ “মন যে লোভী, মাংসমজ্জার নীচে লোভের চাপা আগুন সে লুকিয়ে রেখে দেয়, খোচী পেলে জলে ওঠে। আমি তো গোড়াতেই নাম ডুবিয়েছি, সত্যি কথা বলতে আমার বাধে না। আজন্ম তপস্বিনী নই আমরা। ভড়ং করতে করতে প্রাণ বেরিয়ে গেল মেয়েদের। দ্ৰৌপদীকুম্ভীদের সেজে বসতে হয় সীতাসাবিত্রী। একটা কথা বলি আপনাকে চৌধুরীমশায়, মনে রাখবেন, ছেলেবেলা থেকে ভালোমন্দ-বোধ আমার স্পষ্ট ছিল না। কোনো গুরু আমায় তা শিক্ষা দেন নি। তাই মন্দের মাঝে আমি বীপ দিয়েছি সহজে, পারও হয়ে গেছি সহজে। গায়ে আমার দাগ লেগেছে কিন্তু মনে ছাপ লাগে নি। কিছু আমাকে অঁাকড়ে ধরতে পারে নি। যাই হোক, তিনি যাবার পথে তার চিতার আগুনে আমার আসক্তিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন, জমা পাপ একে একে জলে যাচ্ছে। এই ল্যাবরেটরিতেই জলছে সেই হোমের আগুন।” "ব্র্যাভো, সত্যি কথা বলতে কী সাহস তোমার।” । - “সত্যি কথা বলিয়ে নেবার লোক থাকলে বল সহজ হয়। আপনি যে খুব সহজ, খুব সত্যি।”

  • দেখো, ঐ যে চিঠিলিখিয়ে ছেলেগুলো তোমার প্রসাদ পেয়েছিল, তারা কি এখনও আনাগোনা করে ।”

“সেই করেই তো তারা মুছে দিয়েছে আমার মনের ময়লা। দেখলুম, জুটছে তারা আমার চেকবইয়ের দিকে লক্ষ্য করে। ভেবেছিল মেয়েমাহুষের মোহ মরতে চায় না, ভালোবাসার সিধের গর্ত দিয়ে পৌছবে তাদের হাত আমার টাকার সিন্দুকে। এত রস আমার নেই, তারা তা জানত না । আমার শুকনো পাঞ্জাবি মন । আমি সমাজের আইনকামুন ভাসিয়ে দিতে পারি দেহের টানে পড়ে, কিন্তু প্রাণ গেলেও বেইমানি করতে পারব না। আমার ল্যাবরেটরির এক পয়সাও তারা খসাতে পারে নি। আমার t הלןat