পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さbr& ६ ब्रदौटा-ब्रध्नांवगैौ প্রাণ শক্ত পাথর হয়ে চেপে আছে আমার দেবতার ভাণ্ডারের দ্বার। ওদের সাধ্য নেই সে পাথর গলাবে। আমাকে যিনি বেছে এনেছিলেন তিনি ভুল করেন নি।” “র্তাকে আমি প্রণাম করি, আর পাই যদি সেই ছেলেগুলোর কান মলে দিই।” বিদায় নেবার আগে অধ্যাপক একবার ল্যাবরেটরিটা ঘুরে এলেন সোহিনীকে সঙ্গে নিয়ে। বললেন, “এখানেই মেয়েলিৰুদ্ধির চোলাই হয়ে গেছে, অপদেবতার গ গেছে নেমে, বেরিয়ে এসেছে র্থাটি স্পিরিট ।” i সোহিনী বললে, “যা বলুন, মন থেকে ভয় যায় না। মেয়েলিবুদ্ধি বিধাতার আদি স্বষ্টি । যখন বয়স অল্প থাকে মনের জোর থাকে, তখন সে লুকিয়ে থাকে ঝোপেঝাপে, যেই রক্ত আসে ঠাণ্ড হয়ে, বেরিয়ে আসেন সনাতনী পিসিমা । তার আগেই আমার মরবার ইচ্ছে রইল।” অধ্যাপক বললেন, “ভয় নেই তোমার, আমি বলছি তুমি সজ্ঞানে মরবে।” (* সাদা শাড়ি পরে মাথায় কাচাপাক চুলে পাউডার মেখে সোহিনী মুখের উপর একটি শুচি সাত্বিক আভা মেজে তুললে। মেয়েকে নিয়ে মোটরলঞ্চে করে উপস্থিত হল বোটানিকালে। তাকে পরিয়েছে নীলচে সবুজ বেনারসী শাড়ি, ভিতর থেকে দেখা যায় বসন্তী রঙের কাচুলি। কপালে তার কুকুমের ফোট, স্বল্প একটু কাজলের রেখা চোখে, কাধের কাছে ঝুলেপড়া গুচ্ছকর খোপ, পায়ে কালে চামড়ার পরে লাল মখমলের কাজ-করা স্যাণ্ডেল । যে আকাশনিম-বীথিকার তলায় রেবতী রবিবার কাটায় আগে থাকতে সংবাদ নিয়ে সোহিনী সেইখানেই এসে তাকে ধরলে। প্রণাম করলে একেবারে তার পায়ে মাথা রেখে । বিষম ব্যস্ত হয়ে উঠল রেবতী । সোহিনী বললে, “কিছু মনে কোরে না বাবা, তুমি ব্রাহ্মণের ছেলে, আমি ছত্রির মেয়ে। চৌধুরীমশায়ের কাছে আমার কথা শুনে থাকবে।” “শুনেছি। কিন্তু এখানে আপনাকে বসাব কোথায়।” “এইযে রয়েছে সবুজ তাজ ঘাস, এমন আসন কোথায় পাওয়া যায়। ভাবছ বোধ হয়, এখানে আমি কী করতে এসেছি। এসেছি আমার ব্রত উদযাপন করতে। তোমার মতে ব্ৰাহ্মণ তো খুজে পাব না।” f রেবতী আশ্চর্য হয়ে বললে, “আমার মতে ব্ৰাহ্মণ ?” । ኸ፡ “ত না তে কী। আমার গুরু বলেছেন, এখনকার কালের সুরসের যে বিষ্ঠা