পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন সঙ্গী । * ९४-> গালে চুমে খেয়ে চট করে পূরে গেল, ভালোমানুষের মতো বলল গিয়ে চৌকিতে । “ঐ রে সর্বনাশের শুরু হল দেখছি।” । r + “সে ভয় যদি একটুও থাকত তা হলে কাছেও এগতুম না। এ বরাদ আপনার জুটবে মাঝে মাঝে।” Y l r “ठेिक वलझ् ?” “ঠিকই বলছি। আমার এতে খরচ নেই, আপনারও যে বেশি কিছু পাওনা আছে, মুখের ভাব দেখে তা বোধ হচ্ছে না।” “অর্থাৎ বলতে চাও, এ হচ্ছে মরা কাঠে কাঠঠোকরার ঠোকর দেওয়া – চললুম উকিলবাড়িতে।” “কাল একবার আসবেন এ পাড়াতে ।” “কেন, কী করতে।” “রেবতীর মনে দম দিতে।” “আর নিজের মনটা খুইয়ে বসতে।” “মন কি আপনার একলারই আছে।” “তোমার মনের কিছু বাকি আছে নাকি।” *উচ্ছিষ্ট অনেক পড়ে আছে।” "তাতে এখনও অনেক বাদর নাচানো চলবে ।” 속 তার পরদিনে রেবতী ল্যাবরেটরিতে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত বিশ মিনিট আগে এসেই উপস্থিত। সোহিনী প্রস্তুত ছিল না, আটপৌরে কাপড়েই তাড়াতাড়ি চলে এল ঘরে। রেবতী বুঝতে পারলে গলদ হয়েছে। বললে, “আমার ঘড়িটা ঠিক চলছে না দেখছি।” সোহিনী সংক্ষেপে বললে, “নিশ্চয়।” একসময়ে একটু কী শব্দ শুনে রেবতী মনে মনে চমকে উঠে দরজার দিকে তাকালে । স্থখন বেহারাটা গ্লাসকেসের চাবি নিয়ে এল ঘরে । 牌 সোহিনী জিগ গেস করলে, “এক পেয়াল চা আনিয়ে দেব কি।” রেবতী ভাবলে বলা উচিত, ই। বললে, “দোষ কী।” । ও বেচারার চা অভ্যাস নেই, সর্দির আভাস দিলে বেলপাতাসিদ্ধ গরম জল খেয়ে থাকে। মনে মনে বিশ্বাস ছিল স্বয়ং নীলা আসবে পেয়ালা হাতে। সোহিনী জিগগেস করলে, “তুমি কি কড়চা খাও।” ।