পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ॐ रै রবীন্দ্র-রচনাবলী একেবারে ভিতর থেকে গেল বদলে। মুগ্ধ হয়ে সোহিনী বললে, “তোমাকে যে-কেউ জানে তার সকলেই তোমার এত বড়ে উন্নতির আশা করে যা প্রতিদিনের জিনিলনয়, যা চিরদিনের। কিন্তু আশ। যতই বড়ো, ততই বড়ো তার বাধা ভিতরে বাইরে ।” অধ্যাপক রেবতীর পিঠে আর-একবার দিলে একটা মস্ত চাপড়। ঝনঝন করে উঠল তার শিরদাড়া। চৌধুরী তার মস্ত ভারী গলায় বললেন, “দেখ, রেলু, যে মহৎ ভবিষ্যতের বাহন হওয়া উচিত ছিল ঐরাবত, কৃপণ বর্তমান চাপিয়ে দেয় তাকে গোরুর গাড়িতে, কাদায় পড়ে থাকে সে অচল হয়ে । শুনছ, সোহিনী, সুহি ?— ন না ভয় নেই, পিঠে চাপড় মারব না। বলে সত্যি ক’রে, কথাটা আমি কেমন গুছিয়ে বলেছি।”

  • চমৎকার ।” “ওটা লিখে রেখে তোমার ডায়ারিতে ।”

“তা রাখব।” 血 “কথাটার মানেটা বুঝেছিস তো রেবি ?” “বোধ হয় বুঝেছি।” "মনে রাখিস মন্ত প্রতিভার মস্ত দায়িত্ব । ও তো কারও নিজের জিনিস ময় । ওর জবাবদিহি অনন্তকালের কাছে । শুনছ মুহি, শুনছ ? কথাটা কেমন বলেছি বলে তো ভাই ।” “খুব ভালো বলেছেন। আগেকার দিনের রাজা থাকলে গল থেকে মালা খুলে—” "তারা তো মরেছে সব, কিন্তু—” “ঐ কিন্তুটুকু মরে নি, মনে থাকবে।” | 1 রেবতী বললে, “ভয় নেই, কিছুতে আমাকে দুর্বল করবে না।” সোহিনীকে পা ছুয়ে প্রণাম করতে গেল। সোহিনী তাড়াতাড়ি আটকিয়ে দিলে। চৌধুরী বললেন, “আরে করলে কী। পুণ্যকর্ম না করার দোষ আছে, পুণ্যকর্মে বাধা দেওয়ার দোষ আরও বেশি।” * সেহিনী বললে, “প্রণাম যদি করতে হয় তো ঐখানে।”— ব’লে বেদির উপরে বসানো নন্দকিশোরের মূর্তি দেখিয়ে দিলে । ধূপধুনো জলছে, ফুলে ভরে আছে , ६iञी । · I * r • বললে, “পাতকীকে উদ্ধার করার কথা পুরাণে পড়েছি। আমাকে উদ্ধার করেছেন ঐ মহাপুরুষ। অনেক নিচে নামতে হয়েছিল, শেষকালে তুলে বসাতে পেরেছেন—