পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.' क्लिन मत्रो పెరి পাশে বললে মিথ্যে হবে, তার পায়ের তলায়। বিস্তার পথে মানুষকে উদ্ধার করবার দীক্ষা তিনি আমাকে দিয়ে গেছেন। বলে গিয়েছেন যেন মেয়েজামাইয়ের গুমর বাড়াবার জন্যে র্তার জীবনের খনিখোড়া রত্ন ছাইয়ের গাদায় হারিয়ে না ফেলি। বললেন, ঐখানে রেখে গেলেম আমার সদগতি, আর সদগতি আমার দেশের * * অধ্যাপক বললেন, “শুনলি তো রেবু? এটা হবে ট্রাস্ট সম্পত্তি, তোকে দেওয়া হবে তার কর্তৃত্ব ।” রেবতী ব্যস্ত হয়ে বললে, “কর্তৃত্ব নেবার যোগ্য আমি নই। আমি পারব না।” সোহিনী বললে, “পারবে না ! ছি, এ কি পুরুষের মতে কথা।” রেবতী বললে, “আমি চিরদিন পড়াশুনো করে এসেছি, এরকম কাজের ভার কখনও নিই নি।” চৌধুরী বললেন, “ডিম ফোটবার আগে কখনও হাস সাতার দেয় নি। আজ তোমার ডিমের খোলা ভাঙবে ।” সোহিনী বললে, “ভয় নেই তোমার, আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকব ।” রেবতী আশ্বস্ত হয়ে চলে গেল। সোহিনী অধ্যাপকের মুখের দিকে চেয়ে রইল। চৌধুরী বললেন, “জগতে বোকা অনেকরকম আছে, পুরুষ বোকা সকল বোকার সেরা। কিন্তু মনে রেখো, দায়িত্ব হাতে না পেলে দায়িত্বের যোগ্যতা জন্মায় না। একজোড় হাত পেয়েছে মানুষ তাই সে হয়েছে মানুষ, একজোড়া খুর পেলেই তার সঙ্গে সঙ্গে মলবার যোগ্য লেজ আপনি গজিয়ে উঠত। তুমি কি রেবতীর হাতের বদলে খুর দেখতে পেয়েছ নাকি।” “না, আমার ভালো লাগছে না। মেয়ের হাতেই যারা মানুষ কোনো কালে তাদের দুধে-দাত ভাঙে না। কপাল আমার। আপনি থাকতে আমি আর-কারও কথা কেন ভাবতে গেলুম।” “খুশী হলুম শুনে। একটুখানি বুঝিয়ে দাও কী গুণ আছে আমার ” “লোভ নেই আপনার একটুও।” "এত বড়ো নিদের কথা ! লোভের মতে জিনিসকে লোভ করি নে ?— খুবই "ساسة:fمة মুখের কথা কেড়ে নিয়ে তার দুই গালে দুই চুমে দিয়ে সোহিনী সরে গেল । “কোন খাতায় জমা হল এটা সোহিনী।” *আপনার কাছে যে ঋণ পেয়েছি সে তো শোধ করতে পারি নে, তারই স্বদ निऋि ।” i