পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৪ የስ রবীন্দ্র-রচনাবলী

  • প্রথম দিন পেয়েছি একটি, আজ পেলুম ছাৰ্ছ কেবলই বেড়ে চলবে নাকি।" . "বাড়বে বই কি, চক্রবৃদ্ধির নিয়মে।” 哆 !

هموا চৌধুরী বললেন, “সোহিনী, তোমার স্বামীর শ্রাদ্ধে শেষকালে আমাকে পুরুত বানিয়ে দিলে ? সর্বনাশ, এ কি কম দায়িত্ব । যার অস্তিত্ব হাতড়িয়ে পাওয়া যায় ন। তাকে খুশী করা ! এ তো বাধাদপ্তরের দীনদক্ষিনে নয় ষে—” * “আপনিও তো বাধাদস্তুরের গুরুঠাকুর নন, আপনি ষা করবেন সেটাই হবে পদ্ধতি। দানের ব্যবস্থা তৈরি করে রেখেছেন তো?” “কদিন ধরে ঐ কাজই করেছি, দোকানবাজার কম ঘুরি নি। দানসামগ্রী সাজানে। হয়ে গেছে নীচের বড়ে ঘরটাতে। ইহলোকস্থিত আত্মা যারা এগুলো আত্মসাৎ করবে তারা পেট ভরে খুশী হবে, সন্দেহ নেই।” চৌধুরীর সঙ্গে নীচে গিয়ে সোহিনী দেখলে, সায়ান্স-পড়ুয়া ছেলেদের জন্যে নানা যন্ত্র, নানা মডেল, নানা দামী বই, নানা মাইক্রোসকোপের স্নাইডস, নানা বায়োলজির নমুনা। প্রত্যেক সামগ্রীর সঙ্গে নাম ও ঠিকানা-লেখা কার্ড। আড়াইশে ছেলের জন্যে চেক লেখা হয়েছে এক বৎসরের বৃত্তির। খরচের জন্তে কিছুমাত্র সংকোচ করা হয় নি। বড়ে বড়ো ধনীদের শ্রান্ধে যে ব্রাহ্মণবিদায় হয় তার চেয়ে এর ব্যয়ের প্রসর অনেক বেশি, অথচ বিশেষ করে চোখে পড়ে না এর সমারোহ। “পুরুতবিদায়ের কী দক্ষিণ দিতে হবে, সেটা তো আপনি ধরে দেন নি।” “আমার দক্ষিণ তোমার খুশি ।” n “খুশির সঙ্গে সঙ্গে আপনার জন্যে রেখেছি এই ক্রনোমিটর। জর্মনি থেকে আমার স্বামী এটা কিনেছিলেন, বরাবর তার রিসচের কাজে লেগেছিল।” চৌধুরী বললেন, “ষ মনে আসছে তার ভাষা নেই। ৰাজে কথা বলতে চাই নে, আমার পুরুতের কাজ সার্থক হল ।” “আর-একটি লোক আছে, আজ তাকে ভুলতে পারি নে— সে আমাদের মানিকের বিধবা বউ ।” “মানিক বলতে কাকে বোঝায়।” o 嚇 “সে ছিল ওঁর ল্যাবরেটরির হেড মিস্ত্রি। আশ্চর্ষ তার হাত ছিল। অত্যন্ত সুন্ন কাজে এক চুল তার নড়াচড়, হত না, কলকব্জার তত্ত্ব বুঝে নিতে তার বুদ্ধি ছিল অভ্রান্ত। তাকে উনি অতিনিকট বন্ধুর মতো দেখতেন। গাড়ি করে নিয়ে যেতেন