পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छिन जश्री . ، 4 هك তুলে নিয়ে নীলা বললে, “ডক্টর ভট্টাচার্ধ, আপনি পুরুষমানুষ হয়ে মেয়েদের অত ভয় করেন কেন ।* 晶 রেবতী স্পৰ্ধাভরে বললে, “ভয় করি ? কখনও না।” “আমার মাকে আপনি ভয় করেন না ?” i *ভয় কেন করব, শ্রদ্ধা করি।” “আমাকে ?” t “নিশ্চয় ভয় করি।” o Η “সেটা ভালো খবর। মা বলেছেন, কিছুতে আপনার সঙ্গে আমার বিয়ে দেবে না। তা হলে আমি আত্মহত্যা করব।” “কোনো বাধা আমি মানব না, আমাদের বিয়ে হবেই হবে।” । কাধের উপর মাথা রেখে নীলা বললে, “তুমি হয়তে জান না, তোমাকে কতখানি চাই।” * নীলার মাথাটা আরও বুকের কাছে টেনে নিয়ে রেবতী বললে, “তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে এমন কোনো শক্তি নেই।” “জাত ?” "ভাসিয়ে দেব জাত ।” “ত হলে রেজিষ্ট্রারের কাছে কালই নোটিস দিতে হবে।” “কালই দেব, নিশ্চয় দেব।” রেবতী পুরুষের তেজ দেখাতে শুরু করেছে। পরিণামটা দ্রুতবেগে ঘনিয়ে আসতে লাগল। আইমার পক্ষাঘাতের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। মৃত্যুর আশঙ্ক আসন্ন। যে পর্যন্ত মৃত্যু না হয় সোহিনীকে তিনি কিছুতে ছাড়বেন না। এই স্থযোগটাকে দুহাত দিয়ে অঁাকড়িয়ে ধরে নীলার উন্মত্ত যৌবন আলোড়িত হয়ে উঠেছে। o পাণ্ডিত্যের চাপে রেবতীর পৌরুষের স্বাদ ফিকে হয়ে গেছে— তাকে নীলার যথেষ্ট পছন্দ নয়। কিন্তু ওকে বিবাহ করা নিরাপদ, বিবাহোত্তর উচ্ছম্বলতায় বাধ৷ দেবার জোর তার নেই। শুধু তাই নয়। ল্যাবরেটরির সঙ্গে যে লোভের বিষয় জড়ানো আছে তার পরিমাণ প্রভূত। ওর হিতৈষীরা বলে ল্যাবরেটরির ভার নেবার যোগ্যতর পাত্র কোথাও মিলবে না রেবতীর চেয়ে ; সোহিনী কিছুতে ওকে হাতছাড়া করবে না, এই হচ্ছে বুদ্ধিমানদের অম্বুমান ।