পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলা هذه রেবতীর মনের ভিতরটা কাটা কইমাছের মতে ধড়ফড় করছে ; শুকনো মুখে সোহিনী জিজ্ঞাসা করলে, “আজকের সমারোহটা কিসের জন্তে ।” “ত জান না বুঝি? অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে তো বেরিয়ে গেছে, উনি জাগানী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তারই সন্মানে এই ভোজ। লাইফ মেম্বরশিপের ছশো টাক সুবিধেমতো পরে শুধে দেবেন।” - “স্থবিধে বোধ হয় শীঘ্র হবে না।” . . রেবতীর মনটার মধ্যে ষ্টুমরোলার চলাচল করছিল। সোহিনী তাকে জিজ্ঞাস করলে, “তা হলে এখন তোমার ওঠবার সুবিধে হবে না।” রেবতী নীলার মুখের দিকে তাকালে। তার কুটিল কটাক্ষের খোচায় পুরুষমানুষের অভিমান জেগে উঠল। বললে, “কেমন করে যাই, নিমন্ত্রিতের সব—” সোহিনী বললে, “আচ্ছ, আমি ততক্ষণ এখানে বসে রইলুম। নাসেরউল্লা, তুমি দরজার কাছে হাজির থাকে৷ ” 壟 নীলা বললে, “সে হতে পারবে না, মা। আমাদের একটা গোপন পরামর্শ আছে, এখানে তোমার থাকা উচিত হবে না।” “দেখ, নীলা, চাতুরীর পাল তুই সবে শুরু করেছিস, এখনও আমাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবি নে । তোদের কিসের পরামর্শ সে খবর কি আমি পাই নি। বলে দিচ্ছি, তোদের সেই পরামর্শের জন্যে আমারই থাক। সব চেয়ে দরকার ।” নীল বললে, “তুমি কী শুনেছ, কার কাছে।” o “খবর নেবার ফন্দি থাকে গর্তর সাপের মতে টাকার থলির মধ্যে। এখানে তিনজন আইনওয়াল মিলে দলিলপত্র ঘেটে বের করতে চাও ল্যাবরেটরি ফণ্ডে কোনো ছিদ্র আছে কিনা। তাই নয় কি, নীলু।” - নীল বললে, “ত। সত্যি কথা বলব। বাবার অতখানি টাকায় তার মেয়ের কোনো শেয়ার থাকবে না, এটা অস্বাভাবিক। তাই সবাই সন্দেহ করে—” ի লোহিনী চৌকি থেকে উঠে দাড়াল। বললে, “আসল সন্দেহের মূল আরও অনেক আগেকার দিনের। কে তোর বাপ, কণর সম্পত্তির শেয়ার চাস । এমন লোকের তুই মেয়ে এ কথা মুখে আনতে তোর লজ্জ করে না ?” 覽 *ملا নীল লাফিয়ে উঠে বললে, “কী বলছ, মা।” } r “সত্যি কথা বলছি। তার কাছে কিছুই গোপন ছিল মা, তিনি জানতেন সর্ব। আমার কাছে যা পাবার তা তিনি সম্পূর্ণ পেয়েছেন, জর্জও পাবেন ত, জার-কিছু