পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उिन नत्रौ HIV পারবে না। যদি এই অভিসম্পাত আজ দিত দেবতা যুরোপকে, তা হলে যুরোপ বেঁচে যেত। বিশ্বের জিনিসকে নিজের মাপে ছোটো করেই ওখানকার মানুষ মরছে লোভের তাড়ায়। সত্যি কি না বলে দাছ।” r “খুব সত্যি, কিন্তু এত কথা কী করে ভাবলে।” - , “নিজের বুদ্ধিতে না। একটা তোমার মহাগুণ আছে, কখন কাকে কী যে বল, ভোলানাথ তুমি সব ভুলে যাও। তাই চোরাই মালের উপর নিজের ছাপ লাগিয়ে দিতে ভাবনা থাকে না ।” . . . . . . . আমি বললুম, “নিজের ছাপ দি লাগে তা হলেই অপরাধ খণ্ডন হয়।” “জানেন, নবীনবাবু, ওঁর কত ছাত্র ওঁর কত মুখের কথা খাতায় টুকে নিয়ে বই লিখে নাম করেছে। উনি তাই পড়ে আশ্চর্য হয়ে প্রশংসা করেছেন, বুঝতেই পারেন নি নিজের প্রশংসা নিজেই করছেন। কোন কথা আমার কথা আর কোন কথা ওঁর নিজের সে ওঁর মনে থাকে না— লোকের সামনে আমাকে বলে বসেন ওরিজিন্তাল, তখন সেটার প্রতিবাদ করার মতো মনের জোর পাওয়া যায় না। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি নবীনবাবুরও এ ভ্রম ঘটছে। কী করব বলে, আমি তো কোটেশন-মার্ক দিয়ে দিয়ে কথা বলতে পারি নে।” “নবীনবাবুর এ ভ্রম কোনোদিন ঘুচবে না।” অচিরা বললে, “দাদু একদিন আমাদের কলেজ-ক্লাসে কচ ও দেবযানীর ব্যাখ্যা করছিলেন। কচ হচ্ছে পুরুষের প্রতীক, আর দেবযানী মেয়ের। সেই দিন নির্মম পুরুষের মহং গৌরব মনে মনে মেনেছি, মুখে ককখনো স্বীকার করি নে।” i অধ্যাপক বললেন, “কিন্তু দিদি, আমার কোনো কথায় মেয়েদের গৌরবের আমি কোনোদিন লাঘব করি নি ।” i “তুমি আবার করবে। হায় রে। মেয়েদের তুমি যে অন্ধ ভক্ত। তোমার মুখের স্তবগান শুনে মনে মনে হাসি। মেয়ের নিলজ হয়ে সব মেনে নেয়। তার উপরেও বুক ফুলিয়ে সতীসাধীগিরির বড়াই করে নিজের মুখে । সস্তায় প্রশংসা আত্মসাৎ করা ওদের অভ্যেস হয়ে গেছে।” অধ্যাপক বললেন, “না দিদি, অবিচার কোরো না। অনেক কাল ওর হীনতা । সহ করেছে, হয়তো সেইজন্যেই নিজেদের শ্রেষ্ঠতা নিয়ে একটু বেশি জোর দিয়ে তর্ক করে।” . “না দাদু, ও তোমার বাজে কথা। আসল হচ্ছে এটা স্ত্রীদেবতার দেশ– এখানে পুরুষের স্ত্রৈণ, মেয়েরাও স্ত্রৈণ। এখানে পুরুষরা কেবলই মা মা করছে, আর মেয়ের