পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোগশয্যায় পথের পথিক যথা জানালার রন্ধ দিয়ে উংসব-আলোর পায় একটুকু খণ্ডিত আভাস, সেইমতে যে রশ্মি অন্তরে আসে সে দেয় জানায়ে— এই ঘন আবরণ উঠে গেলে অবিচ্ছেদে দেখা দিবে দেশহীন কালহীন আদিজ্যোতি, শাশ্বত প্রকাশপারাবার, স্বর্য যেথা করে সন্ধ্যাস্বান, যেথায় নক্ষত্র যত মহাকায় বুদবুদের মতে উঠিতেছে ফুটিতেছে— সেথায় নিশাস্তে যাত্রী অামি চৈতন্যসাগর-তীর্থপথে । উদয়ন ২৪ নভেম্বর, ১৯৪০ । প্রাতে ২১ সকালে জাগিয়া উঠি ফুলদানে দেখিহু গোলাপ ; প্রশ্ন এল মনে— যুগ-যুগান্তের আবর্তনে সৌন্দর্যের পরিণামে যে শক্তি তোমারে আনিয়াছে অপূর্ণের কুৎসিতের প্রতি পদে পীড়ন এড়ায়ে, সে কি অন্ধ, সে কি অন্যমন, সেও কি বৈরাগ্যত্রতী সন্ন্যাসীর মতে সুন্দরে ও অসুন্দরে ভেদ নাহি করে— শুধু জ্ঞানক্রিয়, শুধু বলক্রিয়া তার, বোধের নাইকে। কোনো কাজ ? কার। তর্ক করে বলে, স্বষ্টির সভায় সুশ্ৰী কুত্র বসে আছে সমান আসনে—