বিশ্বপরিচয় ७4१ ক্রমাগত তার বর্ষণ। এই ছুটে উলটো খবরের মিলন হল কোনখানে তা ভেবে* পাওয়া যায় না। এর চেয়েও আশ্চর্ষ একটা পরস্পর উলটো কথা আছে, সে হচ্ছে এই ষে বাইরে যেটা ঘটছে সেটা একটা-কিছু ঢেউ আর বর্ষণ, আর ভিতরে আমরা য পাচ্ছি তা, না এটা, না ওটা, তাকে আমরা বলি আলো ;–এর মানে কী, কোনো পণ্ডিত তা বলতে পারলেন না। f ষ ভেবে ওঠা যায় না, যা দেখাশোনার বাইরে, তার এত স্বল্প এবং এত প্রকাও খবর পাওয়া গেল কী করে, এ প্রশ্ন মনে আসতে পারে। নিশ্চিত প্রমাণ আছে, আপাতত এ কথা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। যারা প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন অসাধারণ তাদের জ্ঞানের তপস্তা, অত্যন্ত দুর্গম তাদের সন্ধানের পথ। তাদের কথা যাচাই করে নিতে যে বিস্তাবুদ্ধির দরকার, তাও আমাদের অনেকের নেই। অল্প বিদ্যা নিয়ে অবিশ্বাস করতে গেলে ঠকতে হবে। প্রমাণের রাস্ত খোলাই আছে। সেই রাস্তায় চলবার সাধন যদি কর, শক্তি যদি হয়, তবে একদিন এসব বিষয় নিয়ে সওয়ালজবাব সহজেই হতে পারবে । আপাতত আলোর ঢেউয়ের কথাই বুঝে নেওয়া ষাক। এই ঢেউ একটিমাত্র ঢেউয়ের ধারা নয়। এর সঙ্গে অনেক ঢেউ দল বেঁধেছে। কতকগুলি চোখে পড়ে, অনেকগুলি পড়ে না। এইখানে বলে রাখা ভালো, যে আলো চোখে পড়ে না, চলতি ভাষায় তাকে আলো বলে না। কিন্তু দৃশুই হোক অদৃশুই হোক একট-কোনো শক্তির এই ধরনের ঢেউখেলিয়ে চলাই যখন উভয়েরই স্বভাব তখন বিশ্বতত্ত্বের বইয়ে ওদের পৃথক নাম অসংগত। বড়োভাই নামজাদ, ছোটোভাইকে কেউ জানে না, তবু বংশগত ঐক্য ধরে উভয়েরই থাকে একই উপাধি, এও তেমনি । আলোর ঢেউয়ের আপন দলের আরও একটি ঢেউ আছে, সেটা চোখে দেখি নে, ম্পর্শে বুঝি। সেট তাপের ঢেউ স্বাক্টর কাছে তার খুবই প্রতাপ। এমনিতরো আলোর-ঢেউজাতীয় নানা পদার্থের কোনোটা দেখা যায়, কোনোটা স্পর্শে বোঝা যায় ; কোনোটাকে স্পষ্ট আলোরূপে জানি আবার সঙ্গে সঙ্গেই তাপরুপেও বুঝি ; কোনোটাকে দেখাও ষায় না, স্পর্শেও পাওয়া যায় না। আমাদের কাছে প্রকাশিত অপ্রকাশিত আলোতরঙ্গের ভিড়কে যদি এক নাম দিতে হয়, তবে তাকে তেজ বলা যেতে পারে। বিশ্বস্বষ্টির আদি অন্তে মধ্যে প্রকাশ্বে আছে বা লুকিয়ে আছে বিভিন্ন অবস্থায় এই তেজের কাপন। পাথর হোক লোহা হোক বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় তাদের মধ্যে কোনো নড়াচড়া নেই। তারা যেন স্থিরত্বের আদর্শস্থল। কিন্তু এ কথা প্রমাণ হয়ে গেছে যে তাদের অণু,পরমাণু অর্থাৎ অতি স্বল্প পদার্থ, যাদের দেখতে পাই নে অথচ
