পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8 উদয়ন রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রহরীর কোনো বাধা নাই । আমি কবি তর্ক নাহি জানি, এ বিশ্বেরে দেখি তার সমগ্র স্বরূপে— লক্ষকোটি গ্রহতার আকাশে আকাশে বহন করিয়া চলে প্রকাণ্ড সুষমা, ছন্দ নাহি ভাঙে তার সুর নাহি বাধে, বিকৃতি না ঘটায় স্থলন ; ঐ তো আকাশে দেখি স্তরে স্তরে পাপড়ি মেলিয়া জ্যোতির্ময় বিরাট গোলাপ | ২৪ নভেম্বর, ১৯৪০ । প্রাতে २९ মধ্যদিনে আধে ঘুমে আধো জাগরণে বোধ করি স্বপ্নে দেখেছিকু— আমার সত্তার আবরণ খসে পড়ে গেল অজানা নদীর স্রোতে লয়ে মোর নাম, মোর থ্যাতি, কৃপণের সঞ্চয় যা-কিছু, লয়ে কলঙ্কের স্মৃতি মধুর ক্ষণের স্বাক্ষরিত ; গৌরব ও অগৌরব ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে যায়, তারে আর পারি না ফিরাতে ; মনে মনে তর্ক করি আমিশূন্ত আমি, যা-কিছু হারালে মোর সব চেয়ে কার লাগি বাজিল বেদন।। সে মোর অতীত নহে যারে লয়ে সুখে দুঃখে কেটেছে আমার রাত্রিদিন