পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 8२¢ এই গানটি প্রথম দৃশ্যে “মাটি তোদের ডাক দিয়েছে” গানের (পৃ ১৬৭ ) অব্যবহিত পূর্বে পুরুষ দলের গান রূপে ছিল। * *

  • হৃদয়ে মন্দ্রিল ডমরু গুরুগুরু, ইত্যাদি

( শ্রাবণগাথা, পৃ ১১৪ দ্রষ্টব্য) দ্বিতীয় দৃশ্বের সর্বশেষে (পৃ ১৭৮) ইহা পুরুষদলের নৃত্য’ হিসাবে ব্যবহৃত হইয়াছিল । g să | নৃত্যনাট্যটির প্রথম সংস্করণের শুরুতে চণ্ডালিকা মূল নাটকের ভূমিকা’টি ও সমগ্র নাট্যবিষয়ের রবীন্দ্রনাথ-কৃত একটি পরিচয়’ সন্নিবেশিত হইয়াছিল। ভূমিকাটি রবীন্দ্র-রচনাবলীর ত্রয়োবিংশ খণ্ডে (পৃ ১৩৩) একবার মুদ্রিত হইয়াছে বলিয়৷ বর্তমান খণ্ডে পুনরায় দেওয়া হইল না। পরিচয় অংশটি নিম্নে আদ্যোপান্ত মুদ্রিত হইল : পরিচয় (সমগ্র চণ্ডালিকা নাটিকার গদ্য এবং পদ্য অংশে স্বর দেওয়া হয়েছে। এই কারণে মনে রাখা দরকার এই নাটিকা দৃশ্ব এবং শ্রাব্য, কিন্তু পাঠ্য নয়। ) প্রথম দৃপ্ত ফুল বিক্রি করতে চলেছে মেয়ের । ( গান ) চণ্ডালকন্যা প্রকৃতি ফুল চাইতেই তার স্পর্শ বঁচিয়ে সবাই চলে গেল। দইওয়াল এল । সেও প্রকৃতিকে এড়িয়ে চলে গেল । চুড়িওয়ালা এল, সেও ঘৃণা করে ওকে চুড়ি বেচল না। ( সকলের প্রস্থান ) দেবতাকে নিন্দ ক’রে প্রকৃতির গীত নৃত্য । বৌদ্ধভিক্ষুরা বুদ্ধস্তব গান করে গেল রাস্ত দিয়ে। ঘরকন্নায় অবহেলা করছে ব’লে মা এসে প্রকৃতিকে ভৎসনা করলে । চির-লাঞ্ছনীয় জন্ম দিয়েছে ব’লে প্রকৃতি ধিক্কার দিলে তার মাকে । (মায়ের প্রস্থান ) প্রকৃতির জল-তোলার অভিনয় । বুদ্ধশিষ্য আনন্দ এসে জল চাইলেন। প্রকৃতি ক্ষমা চেয়ে বললে, “আমি চণ্ডালকন্যা, আমার কুয়োর জল অশুচি ।” আনন্দ বললেন, “যে মাহুষ আমি, তুমিও সেই মাহুষ। যে জল তৃষিতকে তৃপ্ত করে সেই জলই পবিত্র তীর্থবারি।” প্রকৃতির হাতের জল খেয়ে তিনি চলে গেলেন।

  • { |ՀԵ