পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 1 خ{ 8७२ নাট্যপরিচয় সমসাময়িক প্রচার-পুস্তিক হইতে নিয়ে মুত্রিত হইল : , s այիTl r ১৯৩৯ সালে অভিনয়কালে প্রচারিত রবীন্দ্রনাথ-কৃত ‘খামা’র একটি সংক্ষিপ্ত প্রথম मृछ g রাজপথে বজ্ৰসেন বণিক। সে অনেক সন্ধানে ইন্দ্রমণির হার সংগ্রহ করেছে। তার ইচ্ছ, এই হার সে কাউকে বেচবে না। বিনামূল্যে যাকে পরাতে চায় তাকেই খুজে বের করবে। বন্ধু বললে, “এই হারের প্রতি রাজার চরের লক্ষ্য আছে।” বজ্ৰসেন বললে, “সেই ভয়ে যাচ্ছি বিদেশে পালিয়ে।” বলতে বলতে কোটালের চর এসে বললে, “তোমার পেটিকায় কী আছে দেখাও।” বজ্ৰসেন বললে, “এ তুমি ছয়ে না, এ আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।” বলে সে ছুটে গেল। কোটালের চর বললে, “দেখব তুমি কোথায় পালাও।” दिउँोग्न नृथ শু্যামার সভা শু্যাম রাজনটী, বিখ্যাত সুন্দরী। তার প্রেমে পাগল বালক উত্তীয় । সে শু্যামার পূজা করে দূরের থেকে। সখীদের করুণ তার পরে। স্যাম নৃত্যগীতে প্রবৃত্ত, এমন সময়ে চোর অপবাদ দিয়ে প্রহরী শু্যামার সভার মধ্য দিয়ে বজ্রসেনের পিছন পিছন ছুটে গেল। গুণমা বজ্রসেনের দেবকান্ত মূর্তি দেখে মুগ্ধ। সখিকে পাঠিয়ে বজ্রসেনের সঙ্গে প্রহরীকে ডেকে পাঠালে। বজ্রসেনকে বাচাবার জন্যে দুদিন সময় চাইলে । প্রহরী রাজি হল । শু্যামা সভাস্থদের উদ্দেশ করে বললে, “তোমাদের মধ্যে এমন বীর কে আছে যে এই নিরপরাধ বিদেশীকে অন্যায় অপবাদ থেকে রক্ষা করবে।” উত্তীয় এসে বললে, “ন্যায়-অন্যায় বুঝি নে, ঐ বিদেশীর নামের অভিযোগ আমি নিজে স্বীকার করে প্রাণ দেব— সেই মৃত্যুর বন্ধনেই তোমার সঙ্গে আমার মিলন হবে।” প্রহরীর কাছে সে আত্মসমর্পণ করলে। কারাগারে তার মৃত্যু হল। छूडौग्न पृथ পথে বজ্রসেনের সঙ্গে শু্যামার মিলনের আনন্দ । দেশত্যাগ করে বজ্ৰসেন ও শু্যামার পলায়ন । পলাতক রাজনটীর সন্ধানে প্রহরীর অমুসরণ । সখীরা তাকে ছলনা করে